পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়া খাবার দেওয়া হইল—সুনীলবাবু ও মুন্সেফাবাৰু ছাড়া আর ক্রেহ খাইতে চাহিলেন না। কারণ বাকি সকলে বৃদ্ধ-উহারা সন্ধ্যাহিক না। করিয়া খাইবেন না। সকলে মিলিয়া আবার মঞ্জুদের বাড়ি ফিরিল। সুনীলবাবুকে মঞ্জুর মা বাড়ির ভিতরে ডাকিয়া পাঠাইলেন। বীরেন তঁহাকে লইয়া গেল। নিধু সঙ্গেই দাড়াইয়াছিল-কিন্তু তাহাকে বীরেন যেন দেখিতেই পাইল না। আজ । নিধু বাড়ি ফিরিয়া আসিতেই তাহার মা বলিলেন-হ্যারে, মোহনভোগ খারাপ হয়নি তো ? -কেন খারাপ হবে ? বেশ হয়েছিল—ওঁরা খেয়েছিলেন তো ? হাকিমবাবুৱা ? -সবটা খেয়েছিল। ভালো হলে খাবে না কেন ? -হ্যারে তুই-এখানে খাবি না জজবাবুদের বাড়ি খেতে বলেচে ? এ ধরনের সোজা প্রশ্নের উত্তরে নিধু প্রথমটা কি বলিবে ঠিক করিতে পারিল না। পরে বলিল-না-বাড়িতেই খাব । ওরা খেতে বলেছিল, কিন্তু আমার লজ্জা করে মা রোজ রোজ ওদের বাড়িনিধুর মা ক্ষুঃস্বরে বলিলেন—তা আজকের দিনটা কেন খেলিনে—ভালোটামন্দটা হত-বড় বড় বাবুৱা এসেছে বাড়িতেSYKS SBB DYSDD BBBBBD DBDS gDB DDSSLDBDB DDBBD রান্না খাওয়া বরং হয়েই ওঠে না। আজকাল । -নিধুর মা মনে মনে খুশি হইলেন। ছেলের মতো ছেলে নিধু। এখন বঁাচিয়া থাকিলে হয়। আজ তাহার দৌলতেই তো তঁহাদের খড়ের ঘরে হাকিমহুকুমের পায়ের ধূলা পড়িল! বংশের মুখ উজ্জ্বল-করা ছেলে বটে। দুপুরের পরেই তিনি পুকুরের ঘাটে বাসন মাজিতে গিয়া বুঝিলেন কথাটা সারা গ্রামে রাষ্ট্র হইয়াছে। SO4