পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4-6ाथ उानेि किनों । সারা সপ্তাহ ধরিয়া নিধু একটি পয়সা রোজগার করিতে পারিল না। “মক্কেলের যেন দুভিক্ষ লাগিয়া গিয়াছে—সকাল হইতে তীর্থের কাকের মতন বাসায় বসিয়া ঘন ঘন হাই তুলিয়া ও বাহিরের দিকে সতৃষ্ণ নয়নে চাহিয়া থাকিয়া নিধুর মোক্তারী ব্যবসাটার উপরই অশ্রদ্ধা ধরিয়া গেল। নিধুর মুহুরী বলে-বাবু, এ হস্তাটায় হল কি ? মক্কেলের যেন আকাল °CSCs (ff -চল কোটে আসতে পারে । কিন্তু কোর্টেও কেহ আসে না। যদু-মোক্তার একদিন বলিলেন-ওহে সুনীলবাবুর কোর্টে তো তোমার খাতির আছে-এই জামিনের জন্যে মুভ করে জামিনটা করিয়ে দেও না ? নিধু কেস শুনিয়া বুঝিল এ ক্ষেত্রে জামিন হওয়া অসম্ভব। বাড়িতে চোরাই মাল পাওয়া গিয়াছে—পুলিশ যে রিপোর্ট দাখিল করিয়াছে—তাহার গতিকও খুব খারাপ। যদু-মোক্তার নিজের নাম খারাপ করিতে রাজী নন, তিনি খুব ভালোই জানেন কোর্ট জামিন দিতে রাজি হইবে না। খাতিরে পড়িয়া যদি সুনীলবাবু জামিন মঞ্জুর করেন-ইহাই যদুবাবুর ভরসা। সে বলিল-কাকাবাবু, এ আমার দ্বারা সুবিধে হবে না --কেন হবে না ? যাও না একবার--মাপ করুন কাকাবাবু, সুনীলবাবুকি মনে করবেন ? -চেষ্টা করতে দোষ কি ? যাও একবারযদুবাবুর অনুরোধ এড়াইতে না পারিয়া নিধু গিয়া জামিনের দরখাস্ত দিয়া জামিনের প্রার্থনা করিল। সুনীলবাবু জামিন মঞ্জুর করিলেন। মক্কেল নিধুকে দুইটি টাকা দিল। নিধু সে দুটি টাকা লইয়া গিয়া যদুবাবুর NSN 8