পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিমধ্যে প্রচার হয়ে গিয়েচে। তুমি এখন যাদুদার হাত থেকে কেন্স পেলেও ফি-এর টাকা তাকে দিও না । যাদুদা চিরকাল ওই করে এলেনযার সঙ্গে যার খাতির, তাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়ে নাম কেনেন নিজেনিধিরাম দেখিল সাধন-মোক্তারের কথায় সামান্য মাত্র সায় দিলেও আর রক্ষা নাই- ইনি গিয়া এ কথা অন্য কোথাও গল্প করিবেন। সে ব্যক্তি যদুবাবুর কানে কথা উঠাইলে তাহার উপর যদুবাবু চটিয়া যাইবেন। তাহার ব্যবসার প্রথম দিকে তঁাহার মতো প্ৰধান মোক্তারের সাহায্য ও উপদেশ হইতে বঞ্চিত হইলে নিজের সমূহ ক্ষতি। সে একটু বেশ জোরের সঙ্গেই বলিল-না সাধনবাবু-আমি তা মনে করি না। যদুবাবু খুব বিচক্ষণ মোক্তারী-সত্যিকার কাজের লোক। আমার তিনি পিতৃবন্ধু-আমায় ছেলের মতো দেখোন! সাধন বিদ্রুপের সুরে বলিলেন-ছেলের মতন দেখেন-ত তো বেশ বোঝাই গেল। মুখে ছেলের মতন দেখি বললেই তো হয় না-সে রকম দেখাতে হয়-দুটো টাকার লোভ ছাড়তে পারলেন না-ছেলের AC\5 (WCoR ! --যাক ও নিয়ে আর--তুমি আমার দুটো মক্কেলের কেস কাল নাও না ? আমার প্রাপ্য টাকার অর্ধেক তোমায় দেব। করবে ? -কেন করব না বলুন ! দেবেন। আপনিনিধু একটু আশ্চর্য হইয়া গেল যে সাধন এবার তাহাকে বিবাহ সংক্রান্ত কোনো কথাই জিজ্ঞাসা করিলেন না । হঠাৎ সাধন বলিলেন-হঁ্যা হে সেদিন ওঁরা বুঝি তোমার বাড়িতে-আমার বাড়ি কোথায় ? লালবিহারীবাবু মুন্সেফ আছেন আমার প্ৰতিবেশী-ইির্তার বাড়িতে গিয়েছিলেন । bas W9