পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্যিই ওরকম মেয়ে আজকাল বড় একটা দেখা যায় না— --বেশ, বেশ । আপনার মুখে একথা শুনে খুব খুশি হলাম। দেখুন মশাই, কিছু মনে করবেন না-যার সঙ্গে সারা জীবন কাটাতে হবে-তাকে অন্তত একটু যাচাই না করে নিয়ে—আমার অন্তত তাই মত। বাবা যা দেখবেন, সে তো দেখবেনই । নিধু একথায় বিশেষ কোনো জবাব করিল না। নিধুর মনের মধ্যে কেমন এক প্রকার অব্যক্ত যন্ত্রণা। সুনীলবাবুর শেষ কথাটা তাহার কানে যেন অনবরত বাজিতেছিল—সারাজীবন মধুর সঙ্গে থাকিবেন কে ? না সুনীলবাবু। মঞ্জু সুনীলবাবুর জীবনসঙ্গিনী ? বাসায় ফিরিবার পথে সুনীলবাবু তাহার সহিত গল্প করিতে করিতে খানিক দূর পথ আসিলেন। শুধু মধুর সম্বন্ধেই কথা। নানা ধরনের আগ্ৰহভরা প্রশ্ন —কখনো খোলাখুলি, কখনো প্রশ্নের উদ্দেশ্য নিধুর কাছে ঠিক বোধগম্য ट्रशेळ न । -আচ্ছা, নিধিরামবাবু, মধু কিরকম লেখাপড়া জানে বলে আপনার মনে হয় ? --বেশী জানে। এবার তো ফাস্ট ক্লাসে উঠবে-আমি তা বলচি নে-পড়াশুনোতে কেমন বলে মনে হয় আপনার ? বেশ কালচার্ড ? -নিশ্চয়ই। হাতের লেখা কাগজ বার করবে শিগগির। লেখাটোখার কোক আছে, গান করে ভালো -গান শুনেচেন আপনি ? এখানে কি ভাবিয়া নিধু সত্যকথা বলিল না। তাহার সামনে বসিয়া মঞ্জু গান গাহিয়াছে, এ কথা এখানে বলিবার আবশ্যক নাই, না বলাই ভালো । Nð RNR