পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে বলিল-ইকন শুনব না। দেখোঁচেন তো আমাদের বাড়ীর সামনেই ওদের বাড়ি। মাঝে মাঝে গান করে ওদের বাড়িতে, আমাদের বাড়ি থেকে 6थान। शाग्र दछे कि। মোটের উপর নিধুর মনে হইল মধুকে দেখিয়া সুনীলবাবু মুগ্ধ হইয়াছেন। মঞ্জুর চিন্তাই এখন তাহার ধ্যান জ্ঞান-ইহার প্রশ্নোত্তর ও কথাবার্তা সবই এখন রূপমুগ্ধ তরুণ প্রেমিকের প্রলাপের পর্যায়ভুক্ত। বাসায্য আসিয়া নিধু মোটেই স্থির হইতে পারিল না। মনের সেই যন্ত্রণাটা যেন বড় বাড়িয়ছে। মঞ্জু সুনীলবাবুর সারাজীবনের সাখী হইবে-একথা যেন সে কিছুতেই সহজভাবে গ্ৰহণ করিতে পারিতেছিল না। সেদিন আর সে রাধিল না। চাকরে জিজ্ঞাসা করিল--কি খাওয়ার যোগাড করে দেব বাৰু? —তুই দুটো পয়সা নিয়ে গিয়ে বব চিড়ে কিনে আন-তাই খাব এখন। শরীরটা ভালো নয়, রান্না আজ পারব না । —সে কি বাৰু? চিড়ে খেয়ে কষ্ট পাবেন কেন ? আমি সব বন্দোবস্ত করে দিচ্ছি।-- --না, না-তুই যা এখন। আমার শরীর ভালো না-আর কিছু খাব না। আহারাদির পরে তিন ঘণ্টা কাটিয়া গেল। রাত প্ৰায় একটা। নিধু দেখিল সে মাথামুণ্ড কি যে ভাবিতেছে! নানা অদ্ভুত চিন্তা। জীবনে সে কখনো এরকম ভাবে নাই । গভীর রাত্রের ঠাণ্ডা হাওয়ায় তাহার উত্তপ্ত মস্তিষ্ক একটু শীতল হইল। আচ্ছা, সে এত রাত পৰ্যন্ত কি ভাবিয়া মরিতেছে ? কেন তার চক্ষে ঘুম নাই ? মধু যাহারই জীবনের সাথী হউক।--তাহার তাহাতে আসে যায় কি ? আজ একটি সপ্তাহের মধ্যে যে একটি পয়সা আয় করিতে পারে নাই N SRO