পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এসব লাইনে কাজ হবে না। বাবু সে আপনাকে আমি আগেই বলেচি। মফস্বলে সর্বত্রই এই অবস্থা দেখবেন। বারের মধ্যে নিধুর বয়সী আর একজন ছোকরা মোক্তার ছিল। তাহার নাম নিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়-সেও নিধুর মতোই গরিব গৃহস্থ পরিবারের ছেলে-নিধু তবুও কিছু কিছু উপার্জন করিত-সে বেচারীর অদৃষ্ট তাহাও জুটিত না-বেচারী তাহার মােসীমার বাড়ি থাকিয়া মোক্তারী করে বলিয়া আনাহারের কষ্টটা ভোগ করিতে হয় না-কিন্তু কিছু করিতে পারিতেছে না বলিয়া তাঁহার মন বড় খারাপ। নিধুর কাছে মাঝে মাঝে সে মনের কথা বলিত। নিধুর মনে খুব দুঃখ হইয়াছিল এই ব্যাপারে-সে নিরঞ্জনের কাছে ঘটনাটি সব বলিল । নিরঞ্জন হাসিয়া বলিল-তোমার মতো লোকের মোক্তারী করতে আসা উচিত হয়নি নিধিরাম -কেন হে ? কি দেখলে আমার অনুপযুক্ততা ? —এত সরল হলে এ ব্যবসা চলে ? যে কোনো ঘুঘু মোক্তার হলে কৌশলে তার কাছে টাকা বার করে নিতো । -আমি ভেবেচি যাদুকাকাকে কথাটা বলব। তিনি কেন আমার মক্কেল নিলেন ? --তোমার কথা শুনে আমার হাসি পাচে হে ! ছেলেমানুষের মতো কথা বলচ যে ৷ একথার মানে হয় ? মক্কেলের গায়ে কি নামের ছাপ আছে নাকি ? শোনো-আমার পরামর্শ। যদুবাবু তোমার হিতাকাজকী—তাকে মিথ্যে চটও না। তুমি তবুও কিছু কিছু পাও—আমার অবস্থাটা ভেবে দেখ তো ? মােসীমার বাড়ি না থাকলে না খেয়ে মরতে হত-আর ব্যবসা চলে না-অচল হয়েচে ভাই। এক পয়সা আয় নেই। আজ 项、一 Nà Rio