পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইল না। সে শুধু বলিল-বেশ, তাই হবে। তবে জামিন মুভ করার ফি আমায় আর কিছু বেশি করিয়ে দিন, তিন টাকায় পারব নাসাধন নিধুব দিকে চাহিয়া বিস্ময়ের সুরে বলিলেন-বল কি হে? জুনিয়ার মোক্তারেবা কেন, অনেক সিনিয়র মোক্তার দু-টাকায় এ কেস করবেতুমি বেশি পাচ্চ শুধু আমার বলা কওয়ায়, নইলে যদুন্দা বা হরিবাবু রয়েচেন কি জন্যে ? তোমায় স্নেহ করি বলে আমি ওদের বুঝিয়ে-সুজিয়ে তোমার কাছে নিয়ে আসচি-ভাবলাম-যদি পায়, তো আমাদের আপনার লোকেই টাকাটা পাকনিধুর রাগ হইল। সাধন সবদিক হইতেই তাহাকে ফাকি দিতে চাহিবেন-এ তাহার পক্ষে অসহ। সে দৃঢ় কণ্ঠে বলিল-আজ্ঞে না, আমি পাঁচ টাকার কমে পারব না-আপনি আসামীদের বলে দেবেন—সে কি হে! তুমি কি আবার ফি ডিকটেটু করতে আরম্ভ করলে নাকি ? -আজ্ঞে মাপ করবেন। আমি ওঁর কমে পারব না-আর একটা কথা, ফিয়ের টাকা আগাম দিতে হবে--নাঃ, তোমাদের মতো ছোকরাদের নিয়ে দেখচি মহাবিপদ । তোমরা বুঝলেও বুঝবে না। তা নিও, তাই নিও। কি আর করব ? আপনার লোকের মতো দেখি তোমাকেসুনীলবাবুর। এজলাসে জামিন মঞ্জুর করাইতে বেলা তিনটা বাজিয়া গেল। তাহাব সাফল্য দেখিয়া হয়তো বা কোনো কোনো প্রবীণ মোক্তার কিছু ঈর্ষান্বিত হইয়া উঠিবেন ভাবিয়া নিধু এজলাসে উপস্থিত হরিহর নদীর কাছে গিয়া বলিল-হরিবাবু, কোনো ভুল করিনি তো ? হরিহর মোক্তার বলিলেন-কোন ভুল করবে ? চমৎকার সওয়াল জবাবনিধু বিনীতভাবে বলিল-আপনাদের কাছেই শিখেছি হরিদা। আপনাদের দেখে দেখেই শেখা-এখন আশীৰ্বাদ করুন SO)