পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--আপনি যে রকম বলেনমঞ্জু যেন হঠাৎ ভরসাহারা ও অসহায় হইয়া পড়িয়াছে। যে মধু চিরকাল হুকুম করিতে অভ্যস্ত, নিজের ইচ্ছার পথে কোনো বাধা যে কোনোদিন, পায় নাই, বাপ-মায়ের আদরের মেয়ে বলিয়াও বটে, সচ্ছল অবস্থার মধ্যে ললিত-পালিত বলিয়াও বটে-আজ যেন সে তাহার সমস্ত কাজের জন্যে নিধুর পরামর্শ খুজিতেছে। নিধু মধুর করিলে তবে যেন সে কাজে উৎসাহ পাইবে। একথা ভাবিতেই নিধুব মন আবার যেন সতেজ হইয়া উঠিল, মধ্যের দুঃখ ও অবসাদের ভাবটা কাটিয়া গেল। --তা তুমি কর না মঞ্জু, আমি পেছনে আছি— --পেছনে থাকলে চলবে না, আপনাকে পার্ট নিতে হবে—যদি বল, তাও নেব । —আপনি পার্ট নেবেন না, প্লে’র মধ্যে থাকবেন না শুনলে আমার ওতে আর মন যায় না। উৎসাহ চলে যায় । -কেন এরকম হল মণ্ডু ? কোথায় তোমরা ছিলে, কোথায় আমরা ছিলাম ভাব তো! সে তো সব জানি। কিন্তু তা বললে মন কি বোঝে নিধুদা ? মনে যা হয়, তাই হয়। বোঝালে কি কিছু বোঝে ? -কি বই করবে। ঠিক করলে ? --বড়দা বলে গিয়েচেন রবি ঠাকুরের “ফাল্গুনী’ করতে-ওঁদের কলেজে এবার করবে। উনি শিখিয়ে দেবেন। পড়েচেন আপনি ? -পাগল তুমি মঞ্ছ? আমাদের বিদ্যোবুদ্ধি জানতে তোমার আর বাকি নেই। নাম শুনেচি, এই পর্যন্ত । -কবিতা পড়েননি তঁর ? -খুব re DOA