পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ধ্যার আর দেরি নাই। ওটু সন্দেশপুর—সেই মৌলবীসাহেবের পাঠশালা সন্দেশপুর বঁাওড়ের ধারে। বাওড়ের বর্ষার জল রাস্তার কিনারা ছুইয়াছে— ওদিকে গাছের গুড়ির সাকোর উপর দিয়া ধান বোঝাই মহিষের গাড়ি পার হইতেছে । আর এইটুকু গেলেই তাহদের গ্রাম। সন্ধ্যার শাখ বাজিবার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রামের পথে সে পা দিবে। অমনি মা আগাইয়া আসিয়া বলিবে—এই যে নিধু এলি বাবা! বলেছিলি আজ যে আসবিনে ? ) হয়তো সে বাড়ি পৌছলে একথা তাহার মা তাহাকে বলিযাও থাকিবেনকিন্তু আচ্ছন্ন ঘোর ঘোর ভাবে সুন্ধ্যার অন্ধকারে যখন সে বাড়ি ঢুকিয়াছিল টলিতে টলিতে-কখন বাড়ির লোকে তাহাকে ধরিয়া লইয়া গিয। বিছানায় শোয়াইয়া দিয়াছিল-এ সকল কথা তাহার মনে নাই । দুইমাস রোগেব ঘোরে কখনও চেতন, কখনও অচেতন বা অর্ধচেতন ভাবে কাটিবার পর নিধুর জীবনের আশা হইল। ক্ৰমে সে বিছানার উপর উঠিয়া বসিতে পারিল। ডাক্তারে বলিয়। গিয়াছে আর ভয় নাই। নিধুর মা পুত্রের সেবা করিতে করিতে রোগ হইয়া পড়িয়াছেন। সে চেহারা আর নাই মায়ের । নিধুর সামনে সাবুর বাটি রাখিয়া বলিলেন-আ: বাবা, রামনগর থেকে শশধরবাবু ডাক্তার পর্যন্ত এসেছিলেন দুদিননিধু ক্ষীণ স্বরে বলিল—শশধরবাৰু! সে তো অনেক টাকার ব্যাপার! -টাকা কি লেগেছে আমাদের ? আহা, আর জন্মে পেটের মেয়েছিল ওই মঞ্জু-দিন রাতের মধ্যে যে কতবার আসত, বসে থাকত-সেই তো সব যোগাড়-যন্ত্র করে দিলে জজবাবুকে বলে-জজবাবুও হামেসা আসতেন গায়ের সবাই আসন্ত-যেত। সেদিনও জর্জগিন্নি বলে গেলেন-টাকা খরচ SGS