পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম বসি প্র্যাকটিসে-সেকাল গিয়েচে । এখন ওই কোর্টের অশথতলায় গিয়ে দ্যাখ্যো-একটা লাঠি মারলে তিনটে মোক্তার মরে। কারো পসার নেই। আবার কেউ কেউ কোটপ্যান্ট পরে আসে-মঙ্কেল কিছুতেই ভোলে নানিধুর মুখে নিরাশার ছায়া পড়িতে দেখিয়া তিনি তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিলেন --না, না, তুমি তা বলে বাড়ি ফিরে যাও আমি তা বলিনি। ছেলেছােকরা, দমবে কেন ? আমি বলচি কাজ খুব সহজ নয়। হঠাৎ বড়লোক । হওয়ার কাল গিয়েচে । লেগে যাও কাজে-আমি যতদূর পারি সাহায্য । করব। তবে একটি বছর কলসীর জল গড়িয়ে খেতে হবে। -আজ্ঞে, কলসীর জল ? --তাই। বাড়ি থেকে জমানে টাকা এনে খরচ করতে হবে বাবাজি । দশ সের চালে কুলুবে না। রাগ কোরো না বাবাজি। অবস্থা গোপন করে তোমাকে মিথ্যে আশা না দেওয়াই ভালো। আমি স্পষ্টবাদী লোক। বাসা ভাড়া দিতে পারবে কত ? -আজ্ঞে, দু-তিন টাকার মধ্যে যাতে হয় তাই করে নেব । তার বেশি দেবার ক্ষমতা নেই। বাবার অবস্থা সব জানেন তো আপনি । যদুবাবু বলিলেন-আচ্ছা, সস্তায় একটা বাসা তোমায় দেখে দেব এখন। দু-চারদিন। এখানে থেকে কোর্টে যাতায়াত করতে পারতে অনায়াসেই কিন্তু তাতে তোমার পসার হবে না । উকীল মোক্তার নিজের বাসায় না। থাকলে সম্মান হয় না । তোমার ভবিষ্যৎটা তো দেখতে হবে । সেদিন যদুবাবু নিধুর জন্য একটা ছোট বাসা পাঁচ টাকা ভাড়ায় ঠিক করিয়া দিলেন । 为脚