পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুছিয়ে বলতে পাবুে না। আমাদের ওপর অবিচার কোরো না তোমরাএমন অনেক সময় হয়, মঙ্কেলে বাপের নাম পৰ্যন্ত মনে করতে পারে না। কোর্টে দাড়িয়ে। না শেখালে চলে ? -আমাকেও অমনি করে শেখাতে হবে ? -যখন এ পথে এসেচ, তা করতে হবে বৈকি। আর একটা কথা শিখিয়ে দিই, হাকিম চটও না কখনো । হাকিম চটিয়ে তোমার খুব ইম্পিরিট দেখানো হল বটে, কিন্তু তাতে কাজ পাবে না । হাকিম চটালে নান, : অসুবিধে। মক্কেল যদি জানে, অমুক মোক্তারের ওপর হাকিম সন্তুষ্ট নয়তার কাছে কোনো মক্কেল ঘোষবে না । নিধু মাসখানেক মোক্তারী করিয়া যদুবাবুর দৌলতে গোটা পনেরো টাকা রোজগার করিল। তার বেশির ভাগই জামিন হওয়ার ফি বাবদ রোজগার। - যদুবাবু দয়া করিয়া তাহাকে দিয়া জামিন-নামা সই করিয়া লইয়া। মক্কেলের নিকট হইতে ফি পাওয়াইয়া দিতেন । একদিন একটি মক্কেল আসিয়া তাহাকে মারপিটের এক মোকৰ্দমায় নিযুক্ত করিতে চাহিল । নিধু জিজ্ঞাসা করিল-অপরপক্ষে কে আছে জানো ? -আজ্ঞে যদু বাড়িয্যেনিধু মুখে কিছু না বলিলেও মনে মনে আশ্চৰ্য হইল। প্রবল প্ৰতাপ যাদু বঁড়িয্যের বিপক্ষে তাহার মতো জুনিয়র মোক্তার দেওয়ার হেতু কি ? লোকটি তো অনায়াসে যদু বািড়য্যের প্রতিদ্বন্দ্বী প্ৰবীন মোক্তার হরিহর নন্দী কিংবা অন্নদা ঘটক অভাবপক্ষে মোজাহার হোসেনের কাছেও যাইতে পারিত ? কথাটা ভাবিতে ভাবিতে সে কোর্টে গিয়া যদু বাড়ুৰ্য্যেকে আড়ালে क्ींदजि cषत्रिण ।