পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যদুবাবু বলিলেন-ও, ভালোই তো বাবাজি । কিন্তু তোমার মক্কেলের মনের ভাব কি জানো না তো ? আমি বুঝেচি । --কি কাকাবাবু? -আমি তোমাকে স্নেহ করি, এটা অনেকে জেনে ফেলেচে । তোমাকে কেস দেওয়ার মানে-আমি বিপক্ষের মোক্তার, কেসে মিটমাটের সুবিধে হবে । -কেস মেটাতে চায় ? —নিশ্চয়ই। নইলে তোমাকে মোক্তার দিত না। অন্য মােক্তারের কথা যদি আমি না শুনি ? যদি কেস চালাবার জন্যে মক্কেলকে পরামর্শ দিই ? এই ভয়ে তোমাকে মোক্তার দিয়েচে । ভালো তো । ওর কাছ থেকে বেশ করে দু-চারদিন ফি আদায় কর, দু-চারদিন তারিখ পাণ্টে যাকহাতে কিছু আসুক-তারপর মিটমাটের চেষ্টা দেখলেই হবে। -বড় অধর্ম হবে কাকাবাবু-অ{জই কেন কোর্টে মিটমাটের কথা হোক না ? —তাহলেই তুমি মোক্তারী করেচ বাবা! মাইনর পাশ করে সেকালে মোক্তারীতে ঢুকেছিলাম-আর চুল পাকিয়ে ফেললাম। এই কাজ করে। তুমি এখনো কঁচা ছেলে-যা বলি তাই শোনো । তোমার মঙ্কেল মিটমাটের কথা কিছু বলেচে ? -as a —তবে তুমি ব্যস্ত হও কেন এখুনি ? আগে বলুক, তারপর দেখা যাবে। একমাস শহরে মোক্তারী করিয়া নিধু বাড়ি যাইবার জন্য ব্যস্ত হইয়া উঠিল। যদু মোক্তার বলিলেন-বাবাজি, সোমবার যেন কামাই কোরো না। শনিবারে যাবে, সোমবারে আসবে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লেও আসবে। নতুন প্র্যাকটিসে ঢুকে কামাই করতে নেই একেবারে । SS