পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধন-মোক্তার কিছু ভূমিকা ফাদিয়া পুনরায় ভাইঝির বিবাহুর প্রস্তাব তুলিলেন। নিধিরাম বড় লজ্জিত ও বিব্রত হইয়া পড়িল-বিবাহের সম্বন্ধে সে এ পর্যন্ত কোনো কথাই ভাবে নাই, তাহার মাথার মধ্যেই একথা নাই। কি কুক্ষণেই সাধনের বাড়ি নিমন্ত্রণ খাইতে আসিয়াছিল। সে বলিল-দেখুন। আমি তো এ বিষয়ে কিছু ঠিক করিনি, তা ছাড়া আমার বাবা রয়োচোনসাধন ব্যস্ত হইয়া বলিলেন-আহা হা, তোমার মত আছে যদি বুঝি তবে তোমার বাবার কাছে এক্ষুনি যাচ্ছি। তোমার কথা আগে বলনিধু মহা বিব্রত হইয়া পড়িল । অন্তত দুদিন সময় নেওয়া দরকারতারপর ভাবিয়া একটা ভদ্রতাসঙ্গত উত্তর অন্তত দেওয়া যাইতে পারে । সে বলিল-আচ্ছা কাল শনিবার বাড়ি যাচ্ছি, মা’র কাছে একবার বলে দেখি, সোমবার আপনাকে সাধন খপ করিয়া হঠাৎ নিধিরামের হাত দুটি ধরিয়া বলিলেন-একাজ করতেই হবে নিধিরাম । আমাদের বাড়িশুদ্ধ সব মেয়েদের তোমাকে দেখে বডড পছন্দ হয়েছে। আর ও টাকাকড়ি, পসার-টসারের কথা ছেড়ে দাও । কপালে থাকে হবে, না থাকে না হবে। বলি যদু-দার কি ছিল ? ভাঙা থালা সম্বল করে এসেছিলেন। এখানকার বারে মোক্তারী করতে । কপাল খুলে গেল, এখন লক্ষ্মী উছলে উঠচে ঘরে !! অমনিই হয়। তাহলে সোমবারে যেন পাকা মত পাই-একটু কিছু মুখে দিয়ে যাবে না ? শনিবারে দীর্ঘ পথ হাটিয়া বাড়ি যাইবার সময় ছায়াসুিগ্ধ ভাদ্র অপরাহ্নে *সুনীল আকাশের গায়ে নানা রঙের মেঘন্তর দেখিতে দেখিতে নিধুর মন কিসের আনন্দে ও নেশায় যেন ভরপুর হইয়া উঠিল। মধুকে আজ সে দেখে নাই দীর্ঘ তেরো দিন-যদি সে থাকে, যদি তাহার সঙ্গে দেখা হয় ! কথাটা ভাবিতেই নিধুর বুকের মধ্যে যেন কেমন তোলপাড় করিতে G, Wy