পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিধু আমতা-আমতা করিয়ু বলিল-সে আবার লেখা ! তাঙ্ক সে সবরমেশের কথা বাদ -ত-কেন সে কিছু অন্যায় করেনি । -সে সব কবিতা স্কুলে থাকতে লিখতাম-কঁচা হাতের লেখামঞ্জু প্ৰতিবাদের সুরে বললে-কেন, আমাদের বেশ ভালো লেগেচে৷ কবিতাগুলো। খুকুকে উদ্দেশ করে যে সিরিজ, ওগুলো সত্যিই চমৎকার! খুকু কে ? নিধু লজ্জিতভাবে বললে-ও আমার ছোট বোন-ওর ডাক নাম নেবু। তিনবছর বয়েস ছিল তখন, এখন বছর আট-নয় বযেস। দেখোনি তাকে ? -না। আমি দেখিনি। এখনি তাকে ডাকতে পাঠাচ্ছি-আজ দেখতেই হবে। কবির প্রেরণা যে যোগায়, সে বড় ভাগ্যবতী । -সে তো এখানে নেই । মামারবাড়ি রয়েচে দিদিমার কাছো-দিদিমা বড় ভালোবাসেন। কিনা ! পুজোর সময় আসবে। —তবে আর কি হবে! আমাদেরই কপাল। দেখা অদৃষ্ট থাকলে তো! এই সময়ে মঞ্জুর মা আসিয়া দাড়াইয়া বলিলেন-নিধু এসেচ বাবা ? মধু তো কেবল তোমার কথা বলচে। ক’দিন তোমার কবিতা পড়ে। ও নাকি কি কাগজ বার করবে, তাতে তোমায় লিখতে হবে। মধু কৃত্রিম ক্ৰোধের সহিত মায়ের দিকে চাহিয়া বলিল-মা সব কথা ফাস করে ফেললে তো! আমি সে কথা বুঝি এখনও বলেচি নিধুদাকে ! যেমন তোমার কাণ্ড ! নিধু বলিল-কেন, কাকীমা ঠিক বলেচেন। শুনতেই তো পেতাম একটু পরেইমঞ্জু হাসিয়া বলিল-একখানা হাতের লেখা কাগজ বের করব ভাবচি, তাতে আপনাকে লিখতে হবে কিন্তু । WO