পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দ্র, বায়ু, বরুণের সঙ্গে তুলনা করা হইল, যুগপ্রবর্তক ঋষিদের সঙ্গে তুলনা করা হইল, মহামানব বলা হইল-বলিবার বিশেষ কিছু বাদ রহিল না। মধু নিজের একটি ক্ষুদ্র রচনা পাঠ করিল, কয়েকটি গান গাহিল, একটি কবিতা আবৃত্তি করিল। সে যেন এই অনুষ্ঠানের প্রাণ, সে যেখানে থাকে। তাহাই মাধুর্ষে ও সৌন্দর্যে ভরিয়া তোলে-সে যেখানে নাই-তােহা হইয়া উঠে প্ৰাণহীন-অন্তত নিধুরা তাহাই মনে হইল। মঞ্জুর বাবাকে মধু নিজের হাতে স্নান করাইয়া শুভ্ৰ গরদ পরাইয়া পিড়িতে বসাইল। গলায় নিজের হাতে তৈরি ফুলের মালা দিয়া কপালে নিজের হাতে চন্দন লেপন করিল। তাহার পর যাহা কিছু অনুষ্ঠান হইল, সবই তঁহাকে ঘিরিয়া । নিধুর মা এমন ধরনের উৎসব কখনো দেখেন নাই-দেখিয়া-শুনিয়া তাহার মুখে কথা সরে না এমন অবস্থা। মধ্যাহ্ন-ভোজনের পর নিমন্ত্রিতের দল চলিয়া গেল-নিধুকে কিন্তু মধু যাইতে দিল না। বৈকালে তাহারা ছােট একটি মুক অভিনয় করিবে, নিধুর বসিয়া এখনই দেখিতে হইবে তাহাদের তালিম দেওয়া। কোথায় কি খুত হইতেছে তাহ দেখিবার ভার পড়িল নিধুর উপর। মঞ্জুর অভিনয় দেখিয়া নিধু মুগ্ধ হইয়া গেল। সুঠাম দেহব্যষ্টির কি লীলা, হাত-পা নাড়ার কি সুললিত ভঙ্গি, হাসির কি মাধুৰ্য-সামান্য একটি তক্তপোষ ও দড়ির গায়ে ঝুলানো কয়েকখানি রঙিন শাড়ি ও ফুলের *মালার সাহায্যে যে এমন মায়া স্বষ্টি করা যায় দর্শকদের সামনে-ত নিধু এই প্রথম দেখিল। অবশ্য অভিনয়ের সময় নিধুর মা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যার পূর্বে নিধু মধুকে বলিল-ষাই তাহলে এখন -এখনই কেন ? -गांधीनि 6ड अछि Wb 83