পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্রমাসের দিন ছোট হইয়া আসিতেছে ক্রমশ-নিধুর সকল ব্যস্ততাকে ব্যর্থ করিয়া দিয়া কামারগাছির দীঘির পাড়ে আসিতেই সন্ধ্যা হইয়া গেল। বাড়ি পৌছিল সে সন্ধ্যার প্রায় আধঘণ্টা পরে। আজ মঞ্জুব সঙ্গে দেখা হওয়ার আর কোনো উপায় নাই। এত রাত্রে সে কোন ছুতায় মধুদের বাড়ি যাইবে ? বাড়িতে সে পা দিতেই তাহার মা বলিলেন-তুই এলি ? জজবাবুব ছেলে তোকে বিকেল থেকে তিনবার খোজ করে গিয়েচে । এই তো খানিক আগেও এসেছিল-বলে গিয়েচে এলেই পাঠিয়ে দিতে-মধু কি দরকারে তোর খোজ করেচেনিধু উদাসীন ভাবে বলিল-ও !! আচ্ছা দেখি-আবার বাত হয়ে গেল afてマー --রাত তাই কি ! মঞ্জুর ভাই বলে গেল, যত রাত হয় জ্যাঠাইমা, নিধুদা এলে পাঠিয়ে দেবেনই --বেশ যাব এখন। হাত মুখ ধুইঘরে ছোট্ট একখানা আশি ছিল। নিজের মুখ তাহাতে দেখিয়া নিধু বিশেষ খুশি হইল না। পথশ্রমে ও ধূলায় মুখের চেহারা-নাঃ, হােপলেস t ভদ্রমহিলাদের সামনে এ চেহারা লইয়া দাড়ানো অসম্ভব। কিছুক্ষণ পরে নিধুর মা ছেলেকে গামছা কাধে ভিজা কাপড়ে পুকুরের ঘাট হইতে আসিতে দেখিয়া বিস্ময়ের সুরে বলিলেন-হ্যারে, ওকি, তুই নেয়ে এলি নাকি এই সন্দেবোলা ? «ላ bታ