পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্নিদূত্ন উঠানে দাড়াইয়া নিধু ডাকিল-ও পিসী, বাড়ি আছ ? বিন্দু বাড়ির ভিতর বাসন মাজিতেছিল, ডাক শুনিয়া আসিয়া বলিল-কে গা? ও নিধু! কি বাবা কি মনে করে ? -বাবা পাঠিয়ে দিলে। -কেন। বাবা ? -আজি খরচের বড় অভাব আমাদের। কিছু ধার না দিলে চলচে না পিসী। বিন্দু বিরক্তমুখে পিছন ফিরিয়া প্ৰস্থানোদ্যত হইয়া বলিল-ধার নিয়ে বসে আছি তোমার সকালবেলা। গাঁয়ে শুধু ধার দ্যাও আর ধার দ্যাও— টাকাগুলো বারোভূত দিয়ে না খাওয়ালে আমার আর চলছে না যে! হবে না বাপু, ফিরে যাও— নিধু দেখিল এই বুড়িই অন্তকার সংসার চলিবার একমাত্র ভরসা, এ যদি এভাবে মুখ ঘুরাইয়া চলিয়া যায়—তবে আজ সকলকে উপবাসে কাটাইতে হইবে। ইহাকে যাইতে দেওয়া হইবে না। নিধু ডাকিল-ও পিসী শোনো একটা কথা বলি। --না বাপু, আমার এখন সময় নেই। -একটা কথা শোনো না । বিন্দু একটু থামিয়া অধোকটা ফিরিয়া বলিল-কি বল না ? --কিছু দিতে হবে পিসী । নইলে আজ বাড়িতে হাঁড়ি চড়বে না। বাবা বলে দিয়েচে । S DB D DDS DDD DDD BDBB S BB D DBB BBB BBB DDD • চৌধুরী মশাইয়ের, টাকা-পয়সা আনতে পার না ? কি হলে হাঁড়ি চড়ে ? -একটা টাকার কমে চড়বে না পিসী। -টাকা দিতে পারব না। ধামা নিয়ে এস-দু’কাঁঠা চাল নিয়ে যাও। -বা রে! আর তেল-নুন মাছ-তরকারির পয়সা ?