পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-এই বেল্লা দুটাে থেকে আরম্ভ হবে, আমাদের বাড়ির বৈঠকখানাতেই হবে। বেশি তো ছেলে নয়, ত্ৰিশ না বত্রিশটি ছেলেতে মেয়েতেএই সময় মঞ্জু খাবারের প্লেট হাতে ঘরে ঢুকিতে ঢুকিতে বলিল-আমনি সব ফাস করে দেওয়া হচ্চে ! কোথায় আমি ভাবচি খাবার খাইয়ে সুস্থ করে নিধুদাকে সব বলব-না। উনি অমনিনৃপেন অভিমানের সুরে বলিল-বা, তুমি কি আমায় বারণ করে দিয়েছিলে ? তাছাড়া আসল কথাটা তো এখনো বলিনি, সেটা তুমিই বল। নিধু মঞ্জুর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চাহিল। মধু হাসিয়া বলিল-অন্য কিছু নয়, আপনাকেও একজন জজ হতে হবে, বাবাকে আমি বলেচি বিশেষ করে। আপনাকে নিতেই হবে। কেমন রাজী ? নিধু বিস্ময়ের সুরে বলিল—তুমি কি যে বল মধু ! আমি ভালো আবৃত্তি করেচি কোনো কালে যে জজ হ৩ে যাব ! সব বাজে । -ওসব বললে আমি শুনচিনো-হতেই হবে আপনাকে ! --কি রকম কি করতে হবে তাই জানিনে ! --সব বলে দেব তা হলেই হল তো ? মধুদের বাড়ি আসিলেই তাহার ভালো লাগে। সপ্তাহের সমস্ত পরিশ্রম, যদু-মোক্তারের পেছনে পেছনে জামিননামার উমেদারী করা, মঙ্কেলদের মিথ্যে কথা শেখানো-সব শ্রমের সার্থকতা হয়। এখানে। সারা সপ্তাহের দুঃখ, একঘেয়েমি কাটিয়া যায় যেন। ইহাদের বাড়িতে সব সময় যেন একটা আনন্দের শ্ৰোত বহিতেছে-যে আনন্দের স্বাদ সে সারাজীবনে কোনোদিন পায় নাই-এখানে আসিয়াই তাহার প্রথম সন্ধান সে পাইল । কিন্তু মধু আছে বলিয়াই এই বাড়িটি সজীব হইয়া আছে, মঞ্জু যেন ইহার অধিষ্ঠাত্রী দেবী । (S) 协>