পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সূরাদিন হৈ-হৈ কারিয়া কোথা দিয়া কাটিয়া গেল। নিমন্ত্রণ খাওয়া, মথুর হাসি, আলাপ, আবৃত্তি-প্ৰতিযোগিতায় সমগ্র গ্রামবাসীর ঈর্ষা প্ৰশংসা মিশ্ৰিত দৃষ্টির সম্মুখে মধুর বাবার ও স্কুল ইনস্পেক্টরের পাশে চেয়ারে বসিয়া আবৃত্তির ভালোমন্দ বিচার করা, আবার সন্ধ্যায় মধুদের বাড়ি জলখাবার খাওয়া, আবার আডডা, গল্প, মঞ্জুর গান, মঞ্জুর হাসি, মঞ্জুর স্নেহবষী-দৃষ্টির প্রসন্ন আলো । নিধুর মা রাত্রে বলিলেন-হ্যারে তুই নাকি জজবাবুর পাশে বসে কি क(ब्रक्षित्रिं शूळ ? -কে বললে ? -পালিতদের বাড়ি শুনে এলাম। তোর বডড সুখ্যাতি করছিল। সেখানে সবাই। বললে-হীরেব টুকরো ছেলে হয়েচে নিধু অত বড় বড় লোকের পাশে বসে। ওটুকু ছেলে --তা তোমার ছেলে কম কেন হবে বল না ? -আমার বুকখানা শুনে বাবা দশ হাত হল। নিধুর বাবা বাড়িতে থাকিয়াও বড় কাহারো একটা খোঁজ-খবর রাখেন না। তিনি পর্যন্ত ডাকিয়া নিধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলেন সভা সম্বন্ধে। তিনি লোকের মুখে শুনিয়াছেন, সভায় যান নাই—কোথাও বড় যান না। সোমবার সকাল । সপ্তাহে এমন দিন কেন আসে ? অত ভোরে মঞ্জুর সঙ্গে দেখা হওয়ার কোনােই সম্ভাবনা ছিল না। নিধুর মা রাত্রি থাকিতে উঠিয়া ভাত চড়াইয়াছিলেন। স্নান করিয়া দুটি ভাত মুখে দিয়া নিধু পথে বাহির হইল। কি আশ্চর্য! চোখকে বিশ্বাস করা শক্ত। অত সকালে গ্রামের বাহিরের পাকা রাস্ত দিয়া নৃপেন, বীরেন ও মঞ্জু বেড়াইয়া ফিরিতেছে। নিধু বলিল-বীরেন যে! কখন এলে ?