পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-কাল অনেক রাত্রে। রাত দশটায় ট্রেনে স্টেশনে নেমে বাড়ি পৌছতে একটা হয়ে গৈল । --তারপর মঞ্জু যে বড় বেড়াতে বেরিয়েচ ? কখনো তো--বেড়াতে বেরুইনি। মেজদা কাল রাত্রে পথে ফাউণ্টেন পেন হারিয়ে এসেচে-তাই ভোরে কেউ উঠবার আগে আমরা তিনজনে খুঁজতে বেরিয়েছিলাম। পাওয়া গেল না । -স্টেশন পৰ্যন্ত সারা পথ না খুজিলেবীরেন বলিল—তা নয়, পুব-পাড়ার শাম বাগদীর বাড়ি পর্যন্ত ফাউণ্টেন পেন পকেটে ছিল। শাম বাগদী রামনগরের হাটে গিয়েছিল, তার গাড়ি ফিরছিল-সেই গাড়িতে এলাম। তাকে পয়সা দিতে গিয়ে দেখোঁচি পেনট তখনও পকেটে আছে। বাড়ি এসে আর দেখলাম না। ’ মঞ্জু বলিল-চলো মেজদা, নিধুদাকে একটু এগিয়ে দিই। নিধু সকৃতজ্ঞ দৃষ্টিতে ময়ূব দিকে চা’ল। মঞ্জু বলিল-খেয়ে যাবেন নিধুদা ? --মা কি না খাইয়ে ছেড়েছেন ? সেটি হবার যে নেই। তঁর কাছে। সেই কোন ভোরে উঠে—চমৎকার মানুষ বটে জ্যাঠাইমা। সামনের শনিবারে আসা চাই নিধুদা । -আসব বই কি-পুজো তো এসে গেল, পুজোর সময় আমরা সবাই মিলে একটা ছোটখাটো প্লে করব।--আপনি আসুন, সামনের রবিবারে তার পরামর্শ করা যাবে। মেজদা এসেচে, বড়দা ও সামনের হ্যািপ্তায় আসবে বেশ মজা হবে। -কে অরুণবাবু? তাকে কখনো দেখিনি। -দেখবেন এখন সামনের রবিবারে । --তোমরা যাও মন্ধু, আর আসতে হবে না। yA