পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-আর একটু যাই-ওই সঁাকোটা পৰ্যন্ত-ভারি ভালো লীগে শরতের সকালে বেড়াতে। কি সবুজ গাছপালা ! চােখ জুড়িয়ে যায়। আমার ক্লাছে এসব নতুন ৷” --তুমি এর আগে পাড়াগা দেখনি বুঝি মন্ধু ? —মধুপুর দেখোঁচি, দুমকা দেখেচি। বাঙলাদেশের পাড়াগাঁয়ে এই প্রথমসঁকোর কাছে গিয়া সকলে সঁকোর উপর কিছুক্ষণ বসিল। বীরেন। বলিল-মধু একটা গান কর তো ? বেশ লাগচে সকালটা। নিধুও সে অনুরোধে যোগ দিল। মঞ্জু দু-তিনটি গান গাহিল। ক্ৰমে বেলা উঠিয়া গেল। দুধারের গাছপালাব মাথায় শরতের রৌদ্র ঝলমল করিতে লাগিল। নিধু উহাদের কাছে বিদায় লইয়া জোরপায়ে পথ হাঁটতে লাগিল। সেদিন এজলাসে ঢুকিতেই সাবডেপুটি সুনীলবাবু জিজ্ঞাসা করিলেনকি নিধিরামবাবু, লালবিহারীবাবুকে আমার খবরটা দিয়েছিলেন তো ? সর্বনাশ! নিধু তাহা একেবারে ভুলিয়া গিয়াছে! সে কথা একেবারেই তাহার মনে ছিল না ! মধুর সঙ্গে দেখা হইলে তাহার কোনো কথাই ছাই মনে থাকে না । সে আমতা আমতা করিয়া বলিল-হুজুর-না খবরটা দেওয়া হয়নি। আমার বাড়িতে অসুখবিসুখ-উনিও স্কুলে কি সব কাজে বড ব্যস্তदफुरे छूःशिऊ--না না। সেজন্যে কি ? সেজন্যে কিছু মনে করবেন না + দেখি যদি সুবিধে পাই-সামনের রবিবারে আমি নিজেই সাইকেল করে যাব । সামনের শনিবারে আপনি শুধু জানিয়ে দেবেন। দয়া করে যে আমি রবিবারে যেতেও পারি। তাহলেই হল। সাধন-মোক্তার ফৌজদারী কোর্টের বটতলা হইতে নিধুকে দেখিতে পাইয়া SO