পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--আজেন্তু হ্যা কাক, তবে আমাদের বাড়ি তো নয়-আমাদেয় প্ৰতিবেশী লালবিহারীবাবু মুন্সেফ-র্তাদেরই বাড়ি। -সে যাই হােক, তুমিও একটু তোমার বাড়িতে নিয়ে যেও, খাতির যত্ন কোরো হে। হাকিমদের বাড়ি যাতায়াত করলে বা হাকিম বাড়িতে যাতায়াত করলে মক্কেলের চোখে উকীল-মোক্তারের কদর বেড়ে যায়ও একটা মস্ত খাতির হে! যদু-মোক্তার যেন একটু ক্ষুন্ন হইয়াছেন মনে হইল। তিনি এতকাল রামনগরে মোক্তারি করিতেছেন-ৰ্তাহার এখানে শহরের বাসায় নিমন্ত্রণ উপলক্ষ্যে অনেকবার হাকিমদের পদধূলি যে না পড়িয়াছে তাহা নয়-কিন্তু কই, কোনো হাকিম তো তাহার পৈতৃক গ্রামের বঁাশবনের অন্ধকারে কখনো যান নাই ? এ মান অনেক বড়, এর মূল্য অনেক বেশি। এই অর্বাচীন জুনিয়ার মোক্তারটার অদৃষ্ট কিনা শেষে এই সম্মান 'জুটল শনিবার সুনীলবাবু নিধুকে এজলাসে বলিলেন-লালবিহারীবাবুর নামে চিঠি আর দিলাম না, বুঝলেন? যদি না যাওয়া হয় ? আপনি মুখেই বলবেনবাড়ি যাইবার পথে নিধু কতবার ভাবিল—তাই যেন হয় হে ভগবান! ওদের যাওয়া যেন না ঘটে ! যদু-মোক্তারের বর্ণিত মান খাতির বা মক্কেলের চােখে মূল্যবৃদ্ধি সে চায় না। বর্তমানে-শনি-রবিবারগুলি যেন এ ভাবে নষ্ট না হয়-ভগবানের কাছে এই তাহার প্রার্থনা । মক্কেলের মান খাতিরে কি হইবে ? বাড়ি পৌছিয়া বিপদের উপর বিপদ-তাহার এক বৃদ্ধ মেসোমশায় আসিয়াছেন, তঁহার বকুনিরও বিরাম নাই, তামাক খাওয়ারও বিরাম নাই । নিধুকে দেখিয়া তিনি যেন তাহাকে আঁকড়াইয়া ধরিলেন, বাজে বকুনিতে òf