পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিধুর কান ৰালাপালা হইয়া উঠিল। নিধুর মাকে দেখাইয়া বলিলেনচিনু তো কালকের মেয়ে। আমি যখন ওর জ্যাঠতুতো দিদিকে বিয়ে করি, তখন চিনুর বয়স কত-এতটুকু মেয়ে! রাঙা ছোট্ট শাঁড়ি পরে গুটগুটি • করে হাটত ! বস হে নিধুবাবু, তোমরা হলে আমার নাতির বয়সী। সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়া প্ৰায় ঘণ্টাখানেক কাটিল। মেসোমশায় তাহাকে আর ছাড়েন না । তিনি কোন কালে চা-বাগানে কাজ করিতেন। সেই আমলের সব গল্প। নিধুর মা তাহার পিতার বয়সী ভগ্নীপতির ঘন ঘন তদারক করিতেছেন-বাডিশুদ্ধ সরগরম। আজ কি মঞ্জু ও একবার খোজ व्लशेळी ना ? নিধুর মন রীতিমতো দমিয়া গেল। সন্ধ্যার প্রায় ঘণ্টা দুই পরে নিধু একবার বাড়ির বাহির হইল। লালবিহারীবাবুর বাডিতে যাইবার খুব ভালো ওজুহাত তাহার রহিয়াছে। হাকিমবাবুদেব আসিবার সংবাদটা দেওয়া। সে চাহিয়া দেখিল উহাদের বৈঠকখানায় তাহার বাবা বসিয়া আছেন-পাড়ার আরও দু’একটি বৃদ্ধ সেখানে উপস্থিত। দাবা খেলা চলিতেছে। নিধু ঘরে ঢুকিতেই লালবিহারীবাবু বলিলেন-আরে নিধু যে! এখন cባCማ ? Jባሻ cባኻ– -আজ্ঞে কাকাবাবু, একটা কথা বলতে এলাম। আমাদের সাবডেপুটি সুনীলবাবু আর মুন্সেফ অমরবাবু কাল আপনার বাড়ি বেড়াতে আসবেন বলে দিয়েচেনও! সুনীল। সিমলে তাঁতিপাড়ার সুনীল-বুঝেচি ! জগৎতক্ষণের ছেলে সুনীল -তবে অমরবাবুকে তো আমি ঠিক চিনিনে। নাম শুনেচি বটে। ছোকরা মতো-না ? হ্যা তাই হবে-আমাদের সাভিসের সিনিয়ার লোকদের অনেককেই জানি। কিনা! অমরবাবু ছোকরাই হবে SS