এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুই বোন
১১১
শর্মিলা। কাছে গিয়ে ওর হাত ধরে বললে, “কী হয়েছে আমাকে বুঝিয়ে বলো।” শশাঙ্ক বললে, “আবার ঋণ করেছি তোমার কাছে, সে-কথা ঢাকা দিয়ো না।”
শর্মিলা বললে, “আচ্ছা বেশ।”
শশাঙ্ক বললে, “সেইদিনকার মতোই আজ থেকে আবার ঋণ শোধ করতে বসলুম। যা ডুবিয়েছি আবার তাকে টেনে তুলবই এই রইল কথা, শুনে রাখো। একদিন যেমন তুমি আমাকে বিশ্বাস করেছিলে তেমনি আবার আমাকে বিশ্বাস করো।”
শর্মিলা স্বামীর বুকের উপর মাথা রেখে বললে, “তুমিও আমাকে বিশ্বাস কোরো। কাজ বুঝিয়ে দিয়ো আমাকে, তৈরি করে নিয়ো আমাকে, তোমার কাজের যোগ্য যাতে হোতে পারি সেই শিক্ষা আজ থেকে আমাকে দাও।”
বাইরে থেকে আওয়াজ এল “চিঠি”।
ঊর্মির হাতের অক্ষরে দু-খানা চিঠি। একখানি শশাঙ্কের নামে—