আসে তা নিয়ে ওর মনে আশঙ্কা থাকে না। লাইন টানা আঁক কষার কাজে তার সঙ্গী জুটেছে। ঊর্মিকে পাশে নিয়ে বুঝিয়ে বুঝিয়ে কাজ এগােয়। খুব দ্রুতবেগে এগােয় না বটে, কিন্তু সময়ের দীর্ঘতাকে সার্থক মনে হয়।
এইখানটাতে শর্মিলাকে রীতিমতাে ধাক্কা দেয়। ঊর্মির ছেলেমানুষিও সে বােঝে, তার গৃহিণীপনার ত্রুটিও সস্নেহে সহ্য করে, কিন্তু ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীবুদ্ধির দূরত্বকে স্বয়ং অনিবার্য ব’লে মেনে নিয়েছিল সেখানে ঊর্মির অবাধে গতিবিধি ওর একটুও ভালাে লাগে না। ওটা নিতান্তই স্পর্ধা। আপন আপন সীমা মেনে চলাকেই গীতা বলেন স্বধর্ম।
মনে মনে অত্যন্ত অধীর হয়েই একদিন ওকে জিজ্ঞাসা করলে, “আচ্ছা ঊর্মি, তাের কি ঐসব আঁকা জোখা আঁক কষা ট্রেস করা সত্যই ভালো লাগে।”
“আমার ভারি ভালাে লাগে দিদি।”
শর্মিলা অবিশ্বাসের সুরে বললে, “হাঁঃ, ভালাে লাগে। ওকে খুশি করবার জন্যেই দেখাস যেন ভালাে লাগে।”
না হয় তাই হােলাে। খাওয়ানােপরানাে সেবাযত্নে