আ। আপনাদের গুরুদেব কি সে অবস্থায় তাঁহাকে দেখিতে পান নাই?
ব। সম্ভব নহে—কেন না, গুরুদেব সদাই নিজের গৃহে থাকেন; কদাচ কখন মন্দিরের দ্বারে যান।
এইরূপ নানা কথায় গাড়ীখানি হৃষীকেশের বাড়ীর নিকট উপস্থিত হইল। তখন বলদেব যথাস্থানে কোচমানকে গাড়ী থামাইতে আদেশ করিলেন। শকট স্থগিত হইলে আমরা উভয়েই অবতরণ করিলাম। কোচমানকে একস্থানে অপেক্ষা করিতে বলিয়া আমি বলদেবের সহিত হৃষীকেশের বাড়ীতে প্রবেশ করিলাম।
পঞ্চম পরিচ্ছেদ
যখন হৃষীকেশের বাড়ীর সদর দ্বারে উপস্থিত হইলাম, তখন বেলা আটটা বাজিয়াছিল। হৃষীকেশের বাড়ীখানি ক্ষুদ্র হইলেও দ্বিতল এবং বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। বাড়ীতে যেন মুর্ত্তিমতী শান্তি বিরাজমান। বাড়ীখনির অবস্থা দেখিয়া আমি বড়ই প্রীত হইলাম।
আমাকে সদর দ্বারে অপেক্ষা করিতে বলিয়া বলদেব ভিতরে প্রবেশ করিলেন এবং কিছুক্ষণ পরেই একজন প্রৌঢ়কে সঙ্গে লইয়া পুনরায় আমার নিকটে আগমন করিলেন। পরে বলিলেন, ইহাঁরই নাম হৃষীকেশ চট্টোপাধ্যায়।”
আমাকে পুলিস কর্ম্মচারী দেখিয়া হৃষীকেশ যেন আশ্চর্য্যান্বিত