শোনা যায়, তাঁহার ন্যায় ক্রিয়াবান পুরুষ সে অঞ্চলে আর কেহ ছিলেন না। তাঁহার আন্তরিক ইচ্ছা ছিল যে, আমি তাঁহার পুত্রকে শিষ্য করি। বেহারী নিজেও অতি সচ্চরিত্র সাধু ও সংযমী পুরুষ। এই সকল কারণেই আমি তাহাকে শিষ্যরূপে গ্রহণ করিয়াছিলাম এবং আমার নিকট রাখিয়া যথারীতি শিক্ষা দিতেছিলাম।
আ। আর কখনও এরূপ ব্যাপার ঘটিয়াছিল?
ম। কই আমার ত স্মরণ হয় না।
আ। আজ প্রাতে কখন আপনার সহিত বেহারীগিরির শেষ দেখা হইয়াছিল?
ম। বেলা সাতটার পর আর আমার সহিত তাহার সাক্ষাৎ হয় নাই।
আমি কিছুক্ষণ ভাবিয়া পুনরায় অতি বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনার কয়জন শিষ্য?”
মনোহরগিরি ঈষৎ সিয়া উত্তর করিলেন, “পূর্ব্বে অনেক গুলি ছিল কিন্তু এখন সর্ব্বশুদ্ধ পনের জন মাত্র।”
আ। সকলেই কি আপনার সহিত একত্রে বাস করিতেছেন?
ম। আজ্ঞে।
আ। আপনার কিম্বা বেহারীগিরির কোন শত্রু আছে?
মনোহরগিরি আমার প্রশ্ন শুনিয়া হাসিয়া উঠিলেন। হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “আমরা সংসারী লোক নহি। সংসারের সহিত আমাদের বিশেষ কোন সংস্পর্শ নাই। দুই বৎসর পূর্ব্বে বেহারীগিরির মাতা ঠাকুরাণীর গঙ্গালাত হইয়াছে। সেই অবধি বেহারীরও সংসার-বন্ধন খুলিয়া গিয়াছে। আমাদের আবার শক্র কে?”