পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাঁঝের পাড়ি
১১৩

দেওয়ার কায়দা। তুফান যতই উঠুক খেয়া ঠিক আছে। ডুফান দেখে বাউলের প্রাণে কি আনন্দ! সে গলা ছেড়ে গান ধরেছে, কোন দিকে চোখ কান নেই, একতার বাজছে বাউল গাইছে—

ওরে ও ক্ষ্যাপা বাউল
মিছে তুই মরিস ঘুরে
“তারে” তোর বাজছে যে সুর
সেই সুরে নে পরাণ পুরে।

 বাউলের আনন্দ দেখে কে? তুফানের দিকে সে চেয়ে চেয়ে দেখ্‌ছে আর গাইছে—

আছে পথ একটি জানা
গেছে সুর একটি শোনা
দেখে নে জগত খানা
বাজছে কোথায় একের সুরে।

 বাউলের প্রাণের আনন্দ খেয়া খানার বুকে যেন ছড়িয়ে পড়ল। তুফানের ভয় ভুলে সবাই এখন গানের সুরে ডুবে গেল। গান শুনতে সবাই মন দিয়েছে হঠাৎ একটা শব্দ হল ‘ফোঁস’ তার পরেই ঝপাৎ করে জলে একটা কি পড়ে গেল। সকলে অন্যমনস্ক, সেদিকে কারো কান গেল না। খানিক পরে আবার সেই শব্দ ‘ফোঁস’, ঝপাৎ করে আবার যেন জলে কি একটা পড়ল!

 এইবার সকলের চোখ পড়ল সেদিকে। এক চুবড়ি