পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুনিয়ার দেনা

বোঝা আপনি নিয়ে চলছিলেন সেটা নিয়ে আমি চ’লতে পারব না এমনটা ভাবলেন কি ক’রে?”

 পথিক বল্লেন, “ওহে তুমি বোঝো না, এটা যে আমার নিজের বোঝা, যেমন করেই হোক একে যে আমার বইতেই হবে, তুমি পরের এত বড় বোঝাটা বইবে কেমন ক’রে তাই ভাবছিলুম”। শুনে বুঝলুম আমার ডাকের খবর তিনি রাখেন না।

 সেই সদাশয় পথিকের বোঝাটি নিয়ে তাঁকে যথাস্থানে পৌঁছে দিতে আগের দিনের মত তিনি আমায় আবার এক ঝুড়ি ফল দিলেন। ফলের বোঝা খোকাদের জন্যে ব’য়ে নিয়ে বাড়ী এলুম। ফলগুলো নামিয়ে দেখি, টুকরীর মধ্যে আজ এক তোডা মোহর। ভাবলুম পথিক ভুল ক’রে মোহরের তোড়াটা এর মধ্যে ফেলে রেখেছেন। যাই হোক্, কাল থেকে আবার এই মোহরের বোঝা নিয়ে আমাকে রাস্তার আনা-গোণা করতে হবে দেখছি। কর্ম্মভোগ আর বলে কাকে? যত দিন আবার না সেই পথিকের দেখা পাচ্চি, তাঁর মোহরের তোড়াটা তাঁকে যতদিন ফিরিয়ে দিতে না পারচি, তত দিন এই সোণার বোঝা বওয়া আমার আর একটা কাজ হ’ল দেখচি।

 প্রায় মাস ছয়েক পরে পথিকের দেখা পেলুম। সেইভাবে পথিক আবার পথ দিয়ে যাচ্ছেন। বল্লুম, “মশায়,