ও সুর শুনতে শুনতে নিজেকেও মোহে ডুবিয়ে ফেলে।
বে। আমার তবে কি হবে ভাই বাউল, এ ছাড়া আর কোন সুর তো আমি জানিনে, গলায় আমার দুর আসে না, হাতে আমার সুর বাজে না, সুর আমি পাব কোথায় যে তাই নিয়ে থাকব?
বা। খেয়া বাও, সকাল দুপুর সাঁজে খেয়া বাও ভাই বেদে সুর আপনি বেজে উঠবে।
বে। খেয়া বাইলে কি সুর বাজে বাউল?
বা। হাঁ, খুব বাজে, আশ্চর্য্য সুর বাজে।
রে। কি বলছ বাউল! আমরা তো খেয়ার আসা যাওয়ায় কোন সুর শুন্তে পাইনে।
বা। মনের কাণ নেই শুনবে কি করে, মনের কাণ না খুললে এ সুর শোনা যায় না।
বে। “তুমি শুনতে পাও?”
বা। “হাঁ।”
বে। “তোমার মনের কান খুললো কি করে?”
বা। “একতারের সুর শুনতে শুনতে; এ সুর কানের ভিতর দিয়ে প্রাণে গিয়ে পৌঁছলেই মনের কান আপনি খুলে যায় পৃথিবী জুড়ে যেখানে যত সুর বাজছে সব শোনা যেতে থাকে।
বে। “খেয়া বাইলে একটি সুর শোনা যায়, না অনেক?”