পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাঁঝের পাড়ি
১২১

 মা। হাঁ, সব।

 সু। আর সব জিনিষ আসতে যেতে গান গায়, —তুমি ও বল বাউল দাদাও দাও বলে।

 মা। গানের খবর বাউলই বেশী জানে, আমি কেবল একটি সুর বুকের মধ্যে শুনি—খেয়া আসতে যেতে যেটি বাজায়। কানটা যে আমার কালা, আমি কি বেশী সুর শুনতে পাই? প্রতিদিন খেয়া বাই তাই খেয়ার সুরটা কান ডিঙ্গিয়ে কোন রকমে আমার বুকে এসে পৌঁচেছে!

 খেয়া এসে এপারে মাটিতে ঠেক্‌ল, যাত্রীরা আনন্দে চীৎকার করে উঠল—

 বেঁচে থাক ভাই কালামাঝি বেঁচে থাক, আজ বড় তুফানেই আমাদের পার করেছ।

 মা। আমি কি পার করেছি ভাই দেবতা করেছেন, দেবতার হাতেই সব।

 যাত্রীরা নেমে পড়ল, বাউলকে ঘিরে তারা গাঁয়ের পথে এগোতে লাগল, বাউল গাইতে গাইতে যাচ্ছে—

খুলে দে মনের ঠুলি,
রেখে দে দুয়ার খুলি,
কে আসে দেখরে চেয়ে আকাশ বেয়ে
কণ্ঠে সুরের তুফানে তুলি।

 বাউলের হাত ধরে সুরী যাচ্ছে। যেতে যেতে সে