পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুনিয়ার দেনা
১২৫

গেলেন, একজন গেঁয়ো লোক মাথায় একটা বোচকা নিয়ে সেই পথ ধরে চলেছে। খালি গা, মোটা একখানা ধুতি পরা, পায়ে ভারি গোছের একজোড়া চটি, কাঁধে গামছা ফেলা, হৃষ্ট পুষ্ট, বলিষ্ঠ লোকটি নিজের মনেই এগিয়ে যাচ্ছে কোন দিকে দৃষ্টি নেই।

 বাবুটি কাছাকাছি হতেই সে একটু থমকে দাঁড়াল। তাকে থামতে দেখে বাবু জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কতদূর যাবে হে?

 সে বল্ল, এই গাঁটা ছাড়িয়ে বাবু, আপনি কদ্দুর যাবেন?

 বা। এই গাঁয়েরই কেবলরাম সর্দ্দারের বাড়ী।

 লো। ওঃ! আপনি বুঝি গাঁয়ের জমিদার পুরন্দর চক্রবর্ত্তী! প্রণাম হই, প্রণাম হই! কিছু মনে করবেন না মশায়—আগেই প্রণাম করা উচিত ছিল।

 বা। তুমি আমায় জানলে কেমন করে?

 লো। আপনার নাম না জানে কে? চোখেই আপনাকে দেখিনি নামতো শুনেছি।

 বা। চিনলে কেমন করে?

 লো। কেবল সর্দ্দারের বাড়ী যাবেন শুনে, আর ঐ চেহারা দেখে, চেহারাটা কি একেবারেই ঢাকা থাকে মশায়!

 তিনি একটু অপ্রস্তুত হয়ে বল্লেন, তোমার ঐ