পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৮
দুনিয়ার দেনা

গাঁ শুদ্ধ লোকের দেনা হাওয়াটার পর্য্যন্ত দেনা, চাওয়াটার পর্য্যন্ত দেনা। এত দেনা কে চোকাবে? অসম্ভব অসম্ভব!

 শেষের এই কথা গুলো শুনে জমিদার বাবুর কেমন কেমন ঠেকতে লাগল। একবার মনে হল লোকটা পাগল নয়ত এসব কি বলে? আবার মনে হল এসব কথার কোন গভীর অর্থ নেইত?—বোঝা শক্ত।

 পথ ফুরিয়ে এল, সামনেই কেবল সর্দ্দারের বাড়ী। বাবুকে প্রণাম করে বিদায় নিয়ে নিজের মনে বক্‌তে বক্‌তে মুদি চলে গেল; পুরন্দর চক্রবর্ত্তী একটা পাড়ার মধ্যে গিয়ে ঢুকলেন।

 পাড়াটা চাষাদের বেশী ভাগ লোকই চাষী। কয়েক ঘর তেলি মালি কুমর কামার কৈবর্ত্ত যারা আছে তারা নিজের নিজের জাত ব্যবসা করে থাকে।

 পুরন্দর চক্রবর্ত্তীর বাপ আশুতোষ চক্রবর্ত্তী এই জমিদারী খানা কেনেন। তাঁর সময়ে ও তিনি এর যথেষ্ট উন্নতি করে গেছেন কিন্তু তাঁর ছেলে পুরুন্দর যেমন সব ছেড়ে এই নিয়েই রয়েছেন এমনটা পূর্ব্ব কখনো হয়নি। এখন এর এতটা উন্নতি হয়েছে যে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। পুরন্দরের বাপ একালের সকল শিক্ষাই ছেলেকে দিয়েছেন। পুরন্দর হাইকোর্টের উকিল আবার মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষা পাস করা ডাক্তার কবিরাজীও কিছু কিছু জানেন। কিন্তু এসব ব্যবসার দিকে না গিয়ে জমিদারীর