বাছুরও অনেকগুলো, বলদ তিন জোড়া। পঞ্চাশ বিঘে জমিতে চাষ। বাড়ীর লোক অভাব কাকে বলে জানে না।
ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করে আসন খানা পাততে পাততে কেবলরাম বল্লে, “বাবা ঠাকুর, বসুন।” পুরন্দর বল্লেন, “না হে, এখন বস্বো না, আগে ঘুরে আসা যাক্, কাজ সারা হোক্ আগে।”
কেবলরাম তখন আসন খানা তুলে রেখে, হাতে একটা মোটা লাঠি নিয়ে, বেরলো। আগে পুরন্দর চক্রবর্ত্তী, পিছু কেবলসর্দ্দার।
পথে যেতে যেতে, পুরন্দর জিজ্ঞসা করলেন, “কেবলরাম সনাতন মুদিকে চেন হে?”
কে। তাকে আবার চিনিনে।” তাকে না চেনে কে? পাঁচখানা গাঁয়ের লোক সবাই তাকে চেনে। সে এক পাগল বাবা ঠাকুর! সকাল থেকে রাত পর্য্যন্ত বক্ছে ‘দেনা মশায় দেনা, আমার বেজায় দেনা, বেজায় দেনা।’ এ ছাড়া তার মুখে আর কথা নেই, সকল কথার শেষে এই কথাটা বল্বেই। আর নিজের মনেও অনেক সময় একলা একলাই বক্ছে দেখা যায় ‘দেনা মশায় দেনা, আমার বেজায় দেনা, মশায়, আমার বেজায় দেনা।’
পুরন্দর। লোকটা করে কি?