পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুনিয়ার দেনা
১৩১

 কে। মস্ত বড় একখানা মুদির দোকান আছে, তাই চালায়। দোকানখানা তিন পুরুষের, এবং তিন পুরুষ ধরে এই মুদির ব্যবসা করে আসছে।

 পু। ওর কি কিছু দেনা আছে? হয়ত দেনার দায়ে মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তাই দিনরাত ঐ রকম বকে বেড়ায়! খবর নেওয়া দরকার হে।

 কে। না বাবা ঠাকুর, মোটেই তা নয়, ওর বাপ দাদা ব্যবসা করে ঢের সম্পত্তি করে রেখে গেছে কিছুরই অভাব নেই, ওটা ওর পাগলামী, ঐ রকম বকা ওর বাতিক। সনাতনের নিজের মা নেই’ দাই মা তাকে মানুষ করেছে। দাই মা বলে, ওর বয়েস যখন ষোল বছর, তখন এক সন্ন্যাসীর পাল্লায় পড়ে, ওর এই রকম মাথা খারাপ হয়ে যায়। বছর খানেক সন্নাসীর পিছু পিছু ঘুরে, যখন বাড়ী ফিরল, তখন দেখা গেল আপনার মনে দিনরাত বক্‌ছে “দেনা মশায় দেনা, বেজায় দেনা, মায়ের দেনা গাঁয়ের দেনা, দাইয়ের দেনা, গাইয়ের দেনা, ছেলের দেনা বুড়োর দেনা ইত্যাদি কত কি বকে। আপনি তার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা কইলেই বুঝতে পারবেন, ব্যাপারটা কি!

 পু। আমি তার সঙ্গে কথা কয়েছি।

 কে। কোথায়?

 পু। আজ, রাস্তায়।