পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৪
দুনিয়ার দেনা

এই বলে, সেদিনকার মত যা কিছু দেখবার শোনবার ছিল, তাড়াতাড়ি সব সেরে নিয়ে, কেবলসর্দ্দার সঙ্গে পুরন্দর সনাতন মুদির বাড়ীর দিকে চল্লেন।

 ক্রোশ দুই গিয়ে পুরন্দর নিজের জমিদারীর এলাকা ছাড়ালেন। অন্য গাঁয়ে ঢুকে সনাতন, মুদির বাড়ী খুঁজে নিতে তাঁদের একটুও দেরী হল না। পথে একজন লোককে জিজ্ঞাসা করতেই, সে দেখিয়ে বলে “ঐ সনাতন মুদির দোকান।” দোকানের সামনে অত্যন্ত ভীড়, লোক ঠেলাঠেলি করছে। পুরন্দর বল্লেন, খুব তো খদ্দের হে! লোকটা বল্লে, “হবে না মশায় পাঁচখানা গাঁয়ের লোক এর দোকানে রোজ ভেঙ্গে পড়ে, বেজায় কাটতি, বেশী লাভ করে না কিনা? আর মেয়েরা কিনতে গেলে তো এক পয়সাও লাভ নেয় না, আসল দামে জিনিষ দেয়, জিজ্ঞাসা করলে বলে, ‘দেনা মশায় দেনা, বেজায় দেনা আমার মেয়েদের কাছে বেজায় দেনা। তাদের কাছে লাভ নিলে যে ডুবে মরব মশায় ভাবে মরব দোকান কি আর তাহলে থাকবে’?” পুরন্দর শুনে কেবলসর্দ্দারের দিকে চেয়ে বল্লেন “দেখলে হে কি রকম ওর আশ্চর্য্য জ্ঞান"! কেবলরাম বল্লে “হাঁ বাবাঠাকুর তাইত দেখছি, আশ্চর্য্য বটে।”

 বলতে বলতে তাঁরা সনাতন মুদির বাড়ীর কাছে এসে পড়লেন। বাড়ীটার সামনের অংশে প্রকাণ্ড ঐ দোকান-