পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ফকিরের ফাঁক
১১

 তাঁর নাম ছিল দেবব্রত। সকলে এখন থেকে তাঁকে দেবদূত বলেই ডাকতে লাগল

 শোনা যায় দেবদূতের বয়স যখন সতের তখন নাকি তিনি নৌকা চড়ে একদিন নদীতে বেড়াতে যান। ঝড়ের মুখে পড়ে মাঝ্ নদীতে নৌকাডুবি হয়। একটি প্রণীও বেঁচে ফেরে নাই। দলবল সহ দেবদূতের মৃত্যু হয়েছে স্থির করে নেওয়া হয়।

 তিন বৎসর পরে হঠাৎ একদিন একখানি ভাঙ্গা নৌকায় চড়ে নদীপথে দেবদূত বাড়ী ফিরে আসেন।

 এ তিন বৎসর কোথায় ছিলেন কি ভাবে ছিলেন কেউ তা জানে না, জিজ্ঞাসা করতেও কেউ সাহস করেনি। তাঁর পিতা ভূতপূর্ব্ব মহারাজা জানতেন কি না তাও জানা যায়নি। কিন্তু তখন থেকে রাজকুমার দেবদূতের একটা আশ্চর্য্য পরিবর্ত্তন ঘটেছে।

 মহারাজের সকল কাজেই তিনি যোগ দেন কিন্তু রাজপ্রসাদে থাকেন না। নদীতীরে একটি কুটীর তৈরি করে তাতেই বাস করেন। সাধারণ খাবার খান, সাধারণ পোষাক পরেন, ঝি চাকর একজনও সঙ্গে রাখেন না। নিজের কাজ সব নিজেই করে থাকেন।

 রাজা তাঁর এ ভাবটা বদলাবার অনেক চেষ্টা করে-