পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
দুনিয়ার দেনা

ছিলেন সফল হন্‌নি। শেষে তাঁকে নিজের ইচ্ছামতই চলতে দিয়েছিলেন।

 দেবদূতের একটি মাত্র সখ ছিল প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় রাজ্যের একদল করে লোক নিয়ে নৌকা চড়ে নদীতে বেড়ান।

 একদিন শিশুদের, একদিন বালক বালিকাদের একদিন যুবাপুরুষদের, একদিন বৃদ্ধবৃদ্ধাদের, একদিন অন্ধ আতুরদের, ও একদিন সন্ন্যাসী সাধু ফকিরদের নিয়ে তিনি যান। আর একটি দিন রাখেন যার খুসী সে যেতে পারে বলে।

 সারাদিন পরিশ্রমের পর এই একটি আনন্দময় ব্যাপার ছিল তাঁর নিত্য নৈমিত্তিক কাজের মধ্যে।

দেবদূতের কাণ্ডকারখানা দেখে লোকে তাঁকে রাজা ভাববে কি প্রজা ভাববে, আমীর ভাববে কি ফকির ভাববে বুঝেই উঠতে পারে না।

 ফুলের প্রতি তাঁর বড় আদর। নিজের কুটীরের পাশে তিনি এক মস্ত ফুলের বাগান তৈরী করেছেন। সে বাগানের সকল কাজ তাঁর নিজের। গাছগুলি সব নিজের হাতে বসানো। নিজের পরিশ্রম ও যত্নের গুণে এই সকল গাছে প্রতিদিন তিনি রাশি রাশি ফুল ফুটিয়ে তোলেন।

 দূর থেকে কত লোক এই বাগান দেখতে আসে ও দেখে পুলকিত হয়ে ফিরে যায়।

 নৌকা থেকে ফিরে এসে ঘরে বাতি জ্বালানর সঙ্গে