পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
দুনিয়ার দেনা

বাসবে না, কিন্তু সেটাও তো কোন একজনের খাওয়া চাই তাই আমিই সেটা খেয়েছি।”

 এই মানুষটির কথা সে যখনই শোনে, তখনই তার তার মনের মধ্যে কেমন একরকম নাড়া দেয়। আজকের কথাতেও তার মনটা খুব নাড়া দিয়ে উঠল। সে বল্লে আমার মনে বাবা! একটুও সুখ নেই, আমি কি করে সুখ পাব, তা বল, আমার আর সব আছে, কেবল সুখ নেই। তোমার আর কিছুই নেই, কেবল সুখ আছে। তোমাতে আমাতে কি তফাৎ! আমি কেমন করে সুখ পাব, আমাকে বলে দাও।

 মা। সুখ তো কোন জিনিষ নয়, যে সেই জিনিষটা পেলেই সুখকে পাবে। সুখ মনের একটা সহজ অবস্থা। কিছুকাল ধরে মনটাকে সহজ ভাবের মধ্যে ফেলে রাখতে পারলে, সুখ তার ভিতর থেকে আপনিই জেগে ওঠে।

 স্ত্রী। কেমন করে সহজ হব, কেমন করে সহজ ভাবের মধ্যে মনটা রাখব, আমাকে বলে দাও।

 মা। এই এদের মধ্যে থাক, এই সব হাঁড়ি, মুচি চণ্ডালের মধ্যে, এদের খাওয়াও, বাঁচাও, টেনে তোল, সুখ আপনি আসবে।”

 স্ত্রী। বাবা আমার ইচ্ছা করে নিজের বাড়ী নিয়ে ওদের আমি খুব করে খাওয়াই, কিন্তু ওরা তো আমার