পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কাপালিকের কপাল

 শীতকাল, রাত্রি তিনটা। তখনও ভোরের আলোর আভাটুকুও দেখা দেয়নি। ঘোর অন্ধকারে চারদিক ঢাকা। পথে মানুষের চলাচল দূরে থাক্‌ শেয়াল কুকুরের সাড়াটি পর্য্যন্ত নেই। গভীর নিস্তব্ধতা ঘন হয়ে চারিদিককে যেন ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে; কোথাও একটুকু শব্দ হলেই অমনি তাকে চেপে মারবে, নিজের অটল গাম্ভীর্য্যকে মুহূর্ত্তের জন্য ও ভাঙ্গতে দেবে না, এমনিতর ভাব।

 সেই নিস্তব্ধতার কোলে, সেই অন্ধকারের মধ্যে ঠিক তেমনি নিস্তব্ধ হয়ে হরিদ্বারের পথে গঙ্গাতীরে এক সন্ন্যাসিনী বসে। কম্বলের তৈরী একটি আলখাল্লার উপর একখানা গেরুয়া রঙের সাড়ী পরা, হাতে দুগাছি লাল রুলি, মাথার একরাশ খোলা চুল পিঠ ছাপিয়ে মাটিতে পড়ে লুটচ্ছে, সন্ন্যাসিনী গঙ্গার জলে পা দুখানি ডুবিয়ে তীরে বসে আছে।

 নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে সন্ন্যাসিনী হঠাৎ গেয়ে উঠল ‘পার