পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
দুনিয়ার দেনা

 দৈ। আছে বই কি, সবই সেখানে মজুত আছে কেবল অন্ধকারে যেটা খুঁজে পাওয়া যায় না দিনে সেটা স্পষ্ট। অন্ধকারে যেটা থাকে দিনে সেটা কাজ করে তাই মানুষ সেটাকে জলজ্যান্ত দেখতে পায়।

 ম। অন্ধকারের চাওয়াটাকেই বুঝি দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে?

 দৈ। হাঁ অন্ধকারে চেয়ে, আলোর মধ্যে পেয়ে, পৃথিবীকে দিয়েই ছুটি।

 ম। তোমার মধ্যে কি মস্ত বড় প্রাণ রয়েছে, যখনি কাছে এস যেন প্রাণ পাই, বেঁচে উঠি, মনটা জেগে ওঠে, চারদিকটা সচেতন বলে অনুভব হয়, বুদ্ধি যেন জ্বলতে থাকে।

 দৈ। তোমার প্রাণ যে কত স্নিগ্ধ কত গভীর তাকি জান?

 দুজনে উঠে বাড়ীর দিকে চল্‌ল। যেতে যেতে মধুমতী মাঝে মাঝে থেমে দাঁড়ায়। দৈবপ্রভা বল্‌ল “থাম কেন?”

 ম। আকাশটা মাথার উপর জাগিয়ে ঘুরে ঘুরে বেড়াতে বড় ভালো লাগে।

 দৈ। বেশ, চল বাইরে একটু বেড়িয়ে আসা যাক্‌।

 দুজনে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল, চলতে চলতে মধুমতী বলল “তোমার কাছে একটা কথা আমার জানবার আছে

 দৈ। কি বল?