পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৪
দুনিয়ার দেনা

হতে লাগলো, কোন কথা আর জিজ্ঞাসা করল না।

 কথায় কথায় রাত এদিকে শেষ হয়ে এসেছে তাড়াতাড়ি দুজনে বাড়ীর দিকে ফিরল সে রাত্রে তাদের আর ঘুম হল না। ভোর হতেই দৈবপ্রভা দলবল নিয়ে বেরিয়ে পড়্‌ল। আশ্রমের দুয়ার রইল খোলা যে ইচ্ছা আসুক যার ইচ্ছা থাকুক।

 গয়া জেলার রাজগীর জায়গাটির স্থানে স্থানে ছোট বড় অনেক পাহাড় দেখা যায়। তারই একটা বড় গোছ পাহাড়ের পাশ দিয়ে একদিন সন্ধ্যার সময় একদল সন্ন্যাসিনী চলেছে। নিজেদের মধ্যে তারা খুব গল্প করতে করতে যাচ্ছে; মুখে বা কথাবার্ত্তার ভাব ভঙ্গীতে ভয় ভাবনার চিহ্ন মাত্র দেখা যাচ্ছে না। রাত্রি এসে পড়েছে, বাঘ, ভালুকের ভয়, দুষ্টু মানুষের ভয়, নির্দ্দিষ্ট বাসস্থান না থাকার ভাবনা, খাবার ভাবনা কোন ভাবনাই তাদের নেই। সব কিছুকে মাড়িয়ে, সব কিছুকে ছাড়িয়ে চলবার জন্যেই যেন তারা তৈরী।

 এরাই যে আমাদের পূর্ব্বপরিচিত দৈবপ্রভার দল তা বোধ হয় বলে বোঝাতে হবে না।

 ক্রমে চারদিক অন্ধকার হয়ে এল। আর পথ চলা