খানিকটা মদ ও এক টুকরো মাংস খেয়ে নিল। মাংসটা কিসের জানা গেল না। লোকে সন্দেহ করে কাপালিকরা মানুষের মাংস খায়।
দশ মিনিট হয়ে গেল কাপালিক জপই করছে, আরো খানিকটা সময় কাটল জপের শেষ নেই। ক্রমেই সে জপের মধ্যে ডুবে যাচ্ছে বোধ হল, বাহ্যজ্ঞান প্রায় নেই বল্লেই হয়।
ঠিক সেই সময় দৈবপ্রভা উঠে দাঁড়ালো। মধুমতীকে উঠতে ঈসারা করে, সন্ন্যাসিনীদের কানের কাছে ফিস্ ফিস্ করে, কি বলে, তাদের জাগিয়ে সকলে মিলে সার বেঁধে জঙ্গলের পাশ দিয়ে আস্তে আস্তে গিয়ে একেবারে কাপালিকের পিছনে উপস্থিত হল।
মিনিট খানেক অপেক্ষা করে, সবাই একসঙ্গে পড়ে, পিছমোড়া করে কাপালিকের হাত দুটো মোটা পুরু একখানা বড় গামছা দিয়ে তার চোখ দুটো চকিতের মধ্যে বেঁধে ফেল্ল।
নেশার ঝোঁকেও জপের তন্ময়তায় ব্যাপারটা ভালো রকম বুঝতে না পেরে কাপালিক গর্জ্জন করে বলে উঠল, কে তুমি?
দৈ। আমি শক্তি।
কাপালিক রাগে গর্জ্জন করতে করতে আবার বলে উঠল, কিসের শক্তি?