পাতা:দুরাকাঙ্ক্ষের বৃথা ভ্রমণ.pdf/১৪

వ్గాx Tఖr;"v- / দেখিলাম, যে যাত্রীর ক্ষুধায় কাতর হইয় পরপরকে গ্রাস করিতে আরম্ভ করিয়াছে, যেন আমার ক্ষুৎক্ষাম দেহ হইতে মাণ্ডৰ কৰ্ত্তন পূর্বক কটাহে সিদ্ধ করিতে দিয়া ছ। উঃ কি ভয়ানক ! আমি কাল্পনিক ভয়ে সীংকার কীিয় উঠিলাম। ভাবিলাম, যদি জাহাজ রক্ষা পায, তবে সেই দশা হইবে, যদি রক্ষা ন পায় তবে অবশ্য মৃত্যু। এই চিন্তিয় জাহাজের ছাদে যে বোই থাকে, তাহ সমুদ্রে সত্বরে ভ সাইলাম এবং তৎক্ষণাৎ তাহার উপরে লাফিয়া পড়িলাম। তরঙ্গের বেগে বোই বিপৰ্য্যস্ত হইবার উপক্রম হইল। আমি তাঁহাকে বায়ুর গতিতে সমর্পণ পূর্বক স্থির ভাবে উপবিষ্ট থাকিলাম । মনে করিতে পার, যে আমার তখন ভয়ের সীমা ছিল না, কিন্তু আমার যাহা বিষ্ণু ভয়ঙ্কছল, সে সকলই মাহুষ হইতে। আমি মহাভূতের প্রকোপে আত্মসমর্পণ করিতে কিছুমাত্র ত্রস্ত হই নাই । এরূপ শান্ত ও গম্ভীরভাবে অবস্থিত রহিলাম, যে একজন অমায়িক খ্ৰীষ্টানের দেখিয়া ঈর্ষ্য হইত। প্রকৃত খ্ৰীষ্টানের পরকালে শান্তিভোগের আশদ্বারা চিত্ত স্বস্থির থাকিতে পারে। সে সুখদ্বীপে পরিক্রম করিবে, স্বচ্ছ গিরিনদীর তট জাজ্ঞস্থদৃশ্য পুষ্পের আয়োদে পরিতৃপ্ত হইবে, জগৎপিতার গরীয়ান প্রভাময় মূৰ্ত্তির সৌম্য কান্তি স্বারা ময়ন সার্থক করিবে ! এৰম্বিধ মহামনোরথ অবশ্যই মানুষের লঘু চিত্তকে নিবৃত করিতে পারে। কিন্তু আমার সে সকল অশ ছিল না, আমি জানিতাম, যে রুধির অপরিশুদ্ধ ও মস্তিষ্ক বিকল হইলেই দৈহিক ও মানসিক জ্ঞান । নিবৃত্ত হইবে, শরীর জলে পচিয়া স্ফীত হইবে, তাহার কিয়দংশ জfলচরের কতক বা খেচরের ভক্ষণ করিবে