পাতা:দুরাকাঙ্ক্ষের বৃথা ভ্রমণ.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Xiv [ দুরাকাঙ্ক্ষের সমুদ্রতটে কত খেল খেলিতাম, বর্ষা কালে জলবিন্দু সিক্ত শিলাতলে উপবিষ্ট হইয়! ময়ূর ময়ুরীর কেক সহিক্ত নৃত্য ও পক্ষবিস্তার দর্শন করিতাম, শরৎ কালের নিৰ্ম্মল জ্যোৎস্নার সহিত কমলদ’র কপোল প্রভার উপম{ দিতাম, গ্রীষ্মের মূৰ্থিক লইয়। তাহর ভ্রমরনীল অলকে বসাইয় দিতাম, হেমন্তের বাঙ্ক, আপাং গণ্ডস্থলে পরাইয়। দিতাম, মধু মাসের মধুর বায়ু সেবন করিতে করিতে তাহার বদন সুধ পান করিয়া মাসনামের সার্থকতা করিভীম । আর কত বলিব, সংস্কৃত কবির। যেস্থানে যেরূপ বর্ণন করিয়ছেন, আমির সে সকলের স্বাদগ্ৰহ করিতে অবশিষ্ট রাখি নাই। যদি আমার চিরকাল ইন্দ্রিয় সুখে কাল যাপন করিবার অভিলাষ থাকিত, যদি দুরশি কৰ্ণে জপত না করিত, তৰে আনি কমল দীর সহিত অবিচ্ছেদে সুখ ভোগ করিতাম । প্রিয়বাদিনী প্রিয়দর্শন ভাৰ্য্য, মানুষের বিম্বচক্ষু হইতে দূৰ্ববৰ্ত্তিতা, প্রকৃতির অতি মনোহর অবস্থা নিরীক্ষণ এবং স্বতন্ত্রত, ইহা অপেক্ষ সংসারে আর সুখ কি আছে। অামার সে সকলই ছিল। নিবিড় অরণ্যমুকুটত শৈলমাল প্রতিদিন লেচন গোচর হইয় অপরিসীম আনন্দ দান করিত, নিঝর হইতে ঝর্কর শব্দে স্ৰতিশীল বারি বীণা অপেক্ষ ও অধিক মধুধার কর্ণে ৰমন করিত, ঘন পরাছন্ন তরু মালায় স্থর্য্যতfপ হইতে ছাদিত নদীর তটভাগে হংস তুল অপেক্ষা সমধিক কোমল নবশম্প শয়নীয় বিস্তার করিয়া রাখিত, কলকণ্ঠ পতত্রির মধুর স্বর আবিস্কৃত করিয়া নাগরিকাদিগের অঙ্গদদায়ী গায়ক বর্গকে তিকর করিত, কস্তুরী