পাতা:দুরাকাঙ্ক্ষের বৃথা ভ্রমণ.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3డి [ দুরাকাডেক্ষর এই বিস্তীর্ণ অর্ণবাস্বরায় কে বৎসার তার গ্রহণ করিবে । আমরা এমন অধম জাতি, যে এই দেশে ইহার কাহাকেও রক্ষিত করিবার উপায় নাই। হা, যদি সহস। আমার অভদ্র ঘটিয়া উঠে, বৎসে তোর দুর্দশায় কে দৃষ্টিপাত করিবে, হে পরমেশ্বর এবম্বিধ জীববর্গকে স্বষ্টি করিয়া যে তোমার কি গূঢ় অভিপ্রায় সিদ্ধ হইতেছে, মানুষ কি তাহী কথন জানিতে পরিবে না, কেবল অন্ধকারে পদে পদে স্থলিত হইয়া আপনার ভরে বিদীর্ণ হইবে । ইহা বলিয়। দুই পিতা দুহিতায় অক্ৰপাত করিতে লাগিল । আমি বৃদ্ধের এই আখ্যান শ্রবণ ও স্বচক্ষে তাহার মনোযাতনা নিরীক্ষণ করিম। সাতিশয় ক্ষুদ হইলাম । গম্ভীরভাবে ক্ষণকাল, ডাহার মারল্য, সাধুতা ও দুর্ভাগ্য ভাবিতে ভাবিতে আমার অন্তঃকরণ আর্দ্র হইল। আমি কহিলাম, " তাত, তুমি আমার সম্বোধনে বিস্ফরিত নয়ন হইওন । আমি এই অবলার রক্ষিত হউয় চিরকাল তোমাকে এই সম্বোধন করিব ; যদি আমার স্থিরতার প্রতি কোন সংশয় হয়, যদি তোমার এরূপ মনে হয়, যে আমি রিপুবিশেষের পরবশ হইয়া তোমার মহীর্ঘ নিধি, বাদ্ধকের অলম্বন, ও জীবনের সারকে বিনিপাত কুহুরে ফেলিবার চেষ্টা করিতেছি, তবে, হে পরমেশ্বর, তুমি সাক্ষী স্বরূপ হইয় মনের অন্ধকার দূর কর, তোমার নয়ন মহীয়ান তারামণ্ডল দেখিতে পায়, অণু সদৃশ স্বক্ষ, বায়ু অপেক্ষা ও দ্রুতগামী মানবচিত্তেও তাহার সেই রূপ প্রসার আছে ? তোমার ইহ অগোচর নাই, যে আমার এই