পাতা:দুর্গা-মঙ্গল - ভবানীপ্রসাদ রায়.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উল্লেখ করিয়া আমি ইহার সম্পাদন-কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হই। উভয় পুথিতে পাঠভেদ খুব অধিক পরিমাণে দেখা যায় ; এমন কি, অনেক স্থলে প্ৰথম পুথি'অপেক্ষ। দ্বিতীয় পুথিতে অনেক অতিরিক্ত কবিতা পাওয়া গেল এবং তাহা স্থানে স্থানে এত বেশী যে, উভয় পুথিকে একই ব্যক্তির রচিত একই কাব্যের প্রতিলিপি বলিতে সন্দেহ হইল। তখন নিবারণ বাবুকে উভয় পুথি পাঠাইয়া দিয়া পাঠভেদ ও অতিরিক্ত পাঠ-নির্ণয় করিবার জন্য অনুরোধ করা হইল। তিনি কয়েক মাস পরিশ্রম করিয়া অতি দক্ষতার সহিত ঐ সকল পাঠভেদ নির্ণয় করিয়া দেন। তিনি এই পাঠ-নির্ণয় সম্বন্ধে যে ভাবে কাৰ্য্য করিয়াছিলেন এবং তৎসম্বন্ধে যে অভিপ্ৰায় প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহা নিম্নে উদ্ধত হইল,— “পরিষৎ হইতে গ্লোরিত ‘দুর্গামঙ্গলে’র হস্তলিখিত প্ৰতিলিপির সহিত মৎসংগৃহীত 'দুর্গামঙ্গলে’র পুথির পার্থক্য বিস্তারিতরূপে প্ৰদৰ্শিত হইতেছে। পুথি দুইখানিতে বিস্তর পার্থক্য দৃষ্ট হয়। প্ৰথমাংশে ও শেষাংশে পার্থক্যের বাহুল্য দেখিয়া যদিও উভয় গ্ৰন্থই যে একই অভিন্ন গ্রন্থের অনুলিপি, তদ্বিষয়ে সন্দেহ জন্মিতে পারে, তথাপি মধ্যভাগে উভয় পুথির পাঠের সৌসাদৃশ্য দেখিলেই উক্ত সন্দেহ যে অমূলক এবং কেবল অনুলিপিকার মহাশয়দিগের রুচিগত পার্থক্যই যে উভয় পুথির পার্থক্যের একমাত্র কারণ, उद्वेिक्षg cकन ज३* थicक २ ।। পার্থক্য-স্থলে উভয় পুথির পাঠই উদ্ধৃত করত মন্তব্য-স্থলে যে কারণে যে পাঠ মূল গ্রন্থের পাঠ বলিয়া বিবেচিত হয় না, অনুলিপিকার মহাশয়দিগের কাহারও কবিত্ব-শক্তির কণ্ডয়নের ফল বলিয়া অনুমিত হয়, তাহা লিখিত হইল। উক্ত মন্তব্যসমূহ লিখিত