প্র। | তোমাকে লইয়া যাইব না? তোমার দাস হইয়া থাকিব। |
“তোমার এ ভালবাসার পুরস্কার কি দিব? ইহাই গ্রহণ কর।”
এই বলিয়া বিমলা কণ্ঠস্থ স্বর্ণহার প্রহরীর কণ্ঠে পরাইলেন, প্রহরী সশরীরে স্বর্গে গেল। বিমলা কহিতে লাগিলেন, “আমাদের শাস্ত্রে বলে, একের মালা অন্যের গলায় দিলে বিবাহ হয়।”
হাসিতে প্রহরীর কাল দাড়ির অন্ধকার-মধ্য হইতে দাঁত বাহির হইয়া পড়িল; বলিল, “তবে ত তোমার সাতে আমার সাদি হইল।”
“হইল বই আর কি?” বিমলা ক্ষণেক কাল নিস্তব্ধে চিন্তামগ্নের ন্যায় রহিলেন। প্রহরী কহিল, “কি ভাবিতেছ?”
বি। | ভাবিতেছি, আমার কপালে বুঝি সুখ নাই, তোমরা দুর্গজয় করিয়া যাইতে পারিবে না। |
প্রহরী সদর্পে কহিল, “তাহাতে আর কোন সন্দেহ নাই, এতক্ষণ জয় হইল।”
বিমলা কহিলেন, “উহুঁ, ইহার এক গোপন কথা আছে।”
প্রহরী কহিল, “কি?”
বি। | তোমাকে সে কথা বলিয়া দিই, যদি তুমি কোনরূপে দুর্গজয় করাইতে পার। |
প্রহরী হাঁ করিয়া শুনিতে লাগিল; বিমলা কথা বলিতে সঙ্কোচ করিতে লাগিলেন। প্রহরী ব্যস্ত হইয়া কহিল, “ব্যাপার কি?”
বিমলা কহিলেন, “তোমরা জান না, এই দুর্গপার্শ্বে জগৎসিংহ দশসহস্র সেনা লইয়া বসিয়া আছে। তোমরা আজ গোপনে আসিবে জানিয়া, সে আগে আসিয়া বসিয়া আছে; এখন কিছু করিবে না, তোমরা দুর্গজয় করিয়া যখন নিশ্চিন্ত থাকিবে, তখন আসিয়া ঘেরাও করিবে।”