জগৎসিংহ যখন চক্ষুরুন্মীলন করিলেন, তখন দেখিলেন যে, তিনি সুরম্য হর্ম্ম্যমধ্যে পর্য্যঙ্কে শয়ন করিয়া আছেন। যে ঘরে তিনি শয়ন করিয়া আছেন, তথায় যে আর কখন আসিয়াছিলেন, এমত বোধ হইল না; কক্ষটি অতি প্রশস্থ, অতি সুশোভিত; প্রস্তরনির্ম্মিত হর্ম্ম্যতল পাদস্পর্শ-সুখজনক গালিচায় আবৃত; তদুপরি গোলাবপাশ প্রভৃতি স্বর্ণরৌপ্য-গজদন্তাদি নানা মহার্য-বস্তু-নির্ম্মিত সামগ্রী রহিয়াছে; কক্ষদ্বারে বা গবাক্ষে নীল পরদা আছে; এজন্য দিবসের আলোক অতি স্নিগ্ধ হইয়া কক্ষে প্রবেশ করিতেছে; কক্ষ নানাবিধ স্নিগ্ধ সৌগন্ধে আমোদিত হইয়াছে।
কক্ষমধ্য নীরব, যেন কেহই নাই। একজন কিঙ্করী সুবাসিতবারিসিক্ত ব্যজনহস্তে রাজপুত্ত্রকে নিঃশব্দে বাতাস দিতেছে, অপর একজন কিঙ্করী কিছুদূরে বাক্শক্তিবিহীন। চিত্র-পুত্তলিকার ন্যায় দণ্ডায়মান আছে। যে দ্বিরদ-দন্ত-খচিত পালঙ্কে রাজপুত্ত্র শয়ন করিয়া আছেন, তাহার উপরে রাজপুত্ত্রের পার্শ্বে বসিয়া একটি স্ত্রীলোক; তাহার অঙ্গের ক্ষতসকলে সাবধানহস্তে কি ঔষধ লেপন করিতেছে। হর্ম্ম্যতলে
৮