প্রথমে যুবক নিজ কৌতূহলপরবশত প্রকাশ করিলেন। বয়োজ্যেষ্ঠাকে সম্বোধন করিয়া কছিলেন, “অনুভবে বুঝিতেছি, আপনার ভাগ্যবানের পূরস্ত্রী, পরিচয় জিজ্ঞাসা করিতে সঙ্কোচ হইতেছে। কিন্তু আমার পরিচয় দেওয়ার পক্ষে যে প্রতিবন্ধক, আপনাদের সে প্রতিবন্ধক না থাকিতে পারে, এজন্য জিজ্ঞাসা করিতে সাহস করিতেছি।”
জ্যেষ্ঠা কছিলেন, “স্ত্রীলোকের পরিচয়ই বা কি? যাহারা কুলোপাধি ধারণ করিতে পারে না, তাহারা কি বলিয়া পরিচয় দিবে? গোপনে বাস করা যাহাদিগের ধর্ম্ম, তাহারা কি বলিয়া আত্মপ্রকাশ করিবে? যেদিন বিধাতা স্ত্রীলোককে স্বামীর নাম মুখে আনিতে নিষেধ করিয়াছেন, সেইদিন আত্মপরিচয়ের পথও বন্ধ করিয়াছেন।”
যুবক এ কথায় উত্তর করিলেন না। তাঁহার মন অন্যদিকে ছিল। নবীনা রমণী ক্রমে ক্রমে অবগুণ্ঠনের কিয়দংশ অপসৃত করিয়া সহচরীর পশ্চাদ্ভাগ হইতে অনিমেষ-চক্ষুতে যুবকের প্রতি দৃষ্টি করিতেছিলেন। কথোপকথনমধ্যে অকস্মাৎ পথিকেরও সেই দিকে দৃষ্টিপাত হইল; আর দৃষ্টি ফিরিল না; তাঁহার বোধ হইল, যেন তাদৃশ অলৌকিক রূপরাশি আর কখন দেখিতে পাইবেন না। যুবতীর চক্ষুর্দ্বয়ের সহিত পথিকের চক্ষু সম্মিলিত হইল। যুবতী অমনি